চীনের উইঘুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাজ্যের , চীনের প্রত্যাখ্যান
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃচীন জবরদস্তি করে পশ্চিম শিনজিয়াংয়ে উইগর নারীদের বন্ধ্যাকরে দিচ্ছে ব্রিটেনের এমন একটি অভিযোগের জবার দিয়েছেন ব্রিটেনের চীনা রাষ্ট্রদ্রুত। তিনি – এ ধরণের অভিযোগ জোরালো ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটেনে চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিন।
বিবিসির সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন এসব অভিযোগ মনগড়া।
“প্রথম কথা, উইগর সম্প্রদায়ের নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করার কোন কর্মসূচি চীন নেয়নি। চীন সরকার এ ধরণের কোনো কর্মসূচির বিরোধী,” বলেছেন মি লিউ।
তিনি বলেছেন: “বিচ্ছিন্নভাবে দুটি একটি ক্ষেত্রে যে এরকম হয়নি, তা আমি একশ ভাগ অস্বীকার করতে পারবো না। সব দেশের ক্ষেত্রেই সেটা সত্যি। কিন্তু এট আমি বলতে পারি, এ ধরণের জবরদস্তি বন্ধ্যাকরণের কোনো নীতি সরকারের নেই।” প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীকে চীন সমান চোখে দেখে।
পশ্চিমা কিছু মিডিয়ায় সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু রিপোর্টে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে শিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম উইগরদের জনসংখ্যা কমাতে জন্মনিরোধক ব্যবহারে তাদের ওপর জোর করা হচ্ছে, এমনকী জবরদস্তি বন্ধ্যাত্বকরণ কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে।
হংকং-এ নতুন একটি নিরাপত্তা আইন পরবর্তী পরিস্থিতি এবং চীনের সাম্প্রতিক কিছু পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ এবং আপত্তি নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব উইগরদের “মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লংঘনের” জন্য চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিও তারা বিবেচনা করতে পারেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিন বিবিসিকে বলেছেন, মানুষজন বলছে চীন খুব আগ্রাসী হয়ে পড়েছে। এটা পুরোপুরি ভুল।
“চীন একটুও বদলায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কিছু পশ্চিমা দেশ চীনের ওপর তথাকথিত নতুন একটি শীতল যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে,” বলেন মি. লিউ।