চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান তেরেসার
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃবৃটিশ জনগণকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি আভাস দিলেন কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বৃটেন। এ জন্য ব্যবসায়ী, ভ্রমণকারী সহ সবাইকে সতর্ক করলেন তিনি। ২০১৯ সালের মার্চে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার কথা বৃটেনের। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয় নি। তাই লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো চুক্তির প্রত্যাশা দেশে ও বিদেশে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমন সময়ে প্রথমবারের মধ্যে তেরেসা মে স্বীকার করলেন, ব্রেক্সিট চূড়ান্ত করার দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজরাপশন বা কর্মকা- বিঘিœত হওয়া সর্বনি¤œ পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। এ জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা বলেছেন তিনি। তার মধ্যে বন্দরগুলোতে ট্রাফিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অতিরিক্ত কাস্টমস চেক পোস্ট বসানো। জুনে ব্রেক্সিট গণভোটে জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসতে বৃটেনকে অনুমোদন করে। তারপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট অনুমোদন করে। ফলে তেরেসা মে বৃটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনতে দু’বছর সময় পান। এ সময় আগামী ২০১৯ সালের মার্চে শেষ হবে। এরই মধ্যে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। কোনো ফল আসে নি। ফলে আগামী এক বছরের কিছু বেশি সময়ে তিনি কতদূর এগুতে পারবেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। ওদিকে ওয়েস্টমিনস্টারে তার দলের ব্রেক্সিটপন্থিরা তার দুর্বলতার বিষয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। গত সপ্তাহে খবর ফাঁস হয় যে, তাকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তা নিয়ে দু’নেতার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রীসভায় রদবদলের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায় বরিস জনসনকে সরিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেয়া হতে পারে। কিন্তু তাতে অরাজি প্রকাশ করেছেন বরিস। দাবি উঠেছে চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড ও অন্যদের সমঝোতার প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে সরকার। এমন অবস্থায় সোমবার হাউজ াব কমন্সে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা। তিনি বলেছেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি সমঝোতায় আমাদের স্বার্থ সফলতা পাক। সম্ভাব্য সবটুকু ব্যবহারে সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সেটাই করছি। আমাদের কাছে এই যে শ্বেতপত্র আছে, তা সেই কাজেরই সমর্থন দেয়। এতে ব্যবসায় ও ভ্রমণকারীদের জন্য বিঘ্ন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। যদি কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট হয় তাহলে ব্রেক্সিট পরবর্তী কাস্টমস ব্যবস্থাপনা কেমন হবে এতে তার উল্লেখ রয়েছে। যেসব ব্যবসায়ী বা ট্রেডার বর্তমানে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যবসা করেন তাদেরকে প্রথমবারের মতো কাস্টমস ডিক্লারেশন ও কাস্টমস চেক করাতে হবে।