জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করে রানির কাছে চিঠি লিখেছেন জেরেমি করবিন, আনবেন অনাস্থা প্রস্তাব
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টেবর পর্যন্ত পার্লামেন্টের কার্যবিধি স্থগিত করতে রানি এলিজাবেথকে অনুরোধ করেছেন। বরিসের এই পরিকল্পনা বাতিল করতে রানির সঙ্গে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছেন দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। বিবিসি, সিএনএন, ডেইলি মেইল
প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যেই রানির কাছে চিঠি লিখেছেন করবিন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, এটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি হতে পারে না। করবিন আরো বলেন, ‘আমি জনসন সরকারের এই অদূরদর্শীতায় হতভম্ব। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তের জন্য পার্লামেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কখনোই পার্লামেন্টের কার্যপ্রণালি স্থগিত করতে পারেন না।’ এই সময় অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি উল্লেখ করে করবিন আরো বলেন, বরিস কিসের ভয় পাচ্ছেন? আমরা সব বিরোধী দলকে নিয়ে আগামীকাল বৈঠকে বসে আগামী সপ্তাহের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসব। গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও চুর্ণবিচুর্ণ করার এই পরিকল্পনা প্রতিহত করা হবে।’
এদিকে পার্লামেন্টে বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার করবিনের পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটি করবিনের জন্য কঠিন হবে। বরিস অবশ্যই নিজকে সেরাদের সেরা হিসেবে প্রমাণ করবেন’। প্রসঙ্গত ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সীমিত ক্ষমতা অনুযায়ী রানির কাছে বরিসের অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরিই আনুষ্ঠানিক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টের কার্যবিধি স্থগিত করার বিশেষ ক্ষমতা, ‘নিউক্লিয়ার অপশন’ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ ক্ষমতার আওতায় এই কয়দিন হাউস অব কমন্স বন্ধ থাকলে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকানোর প্রয়োজনীয় সময় ব্রিটিশ এমপিদের হাতে থাকবে না। তবে বরিসের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে হাউস অব কমন্সে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পথ করবিনের জন্য সুগম হলো।
এদিকে পার্লামেন্ট স্থগিতের পরিকল্পনাকে ‘খুবই চমৎকার এজেন্ডা’ বলে মন্তব্য করেছেন বরিস জনসন। যদিও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ হিসেবে থাকা হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো মুখ খুলে বলেছেন এটি ‘সংবিধানের ওপর তাণ্ডবলীলা চালানো হয়েছে।’ স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজোর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একনায়কের মতো আচরণ করছেন।