জর্ডানের পেত্রায় বালুর নিচে বিশাল প্রাচীন স্থাপনার সন্ধান
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
জর্ডানের ঐতিহাসিক প্রাচীন নগরী পেত্রায় বিশাল এলাকাজুড়ে ২ হাজার ১৫০ বছরের পুরানো এক স্থাপত্যের সন্ধান পেয়েছেন ভূতত্ত্ববিদরা। স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত ছবি স্ক্যান করে বালু চাপা পড়া ওই প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান মেলে। পড়ে ড্রোনের সাহায্য নিয়ে এবং সরেজমিন পরিদর্শণ করে জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়। বুলেটিন অব দ্য আমেরিকান স্কুলস অব ওরিয়েন্টাল রিসার্চে এই আবিষ্কার সম্পর্কে গবেষকদল বিস্তারিত জানান বলে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
বিবিসির খবরে বলা হয়, স্থাপনাটি একটি অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান লম্বা এবং প্রস্থে প্রায় এর দ্বিগুন। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, ১৮৪ ফিট দীর্ঘ ও ১৬১ ফিট প্রশস্ত একটি ক্ষেত্র, যাতে বিশাল সিঁড়ি ও বড় বড় থাম রয়েছে। সিঁড়ি শেষ হলে সেখানে রয়েছে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি ক্ষেত্র। ওই ক্ষেত্রটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ উভয়ি ২৮ ফিট। এছাড়াও ওই স্থাপত্যের কাছাকাছি পাওয়া গিয়েছে ওই সময়কার মৃৎশিল্পের বেশকিছু নিদর্শন।
১৯৮৫ সালে জর্ডানের এই ঐতিহাসিক নগরীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সম্মানে ভূষিত করে ইউনেস্কো।
গবেষকরা জানান, এই স্থাপত্যটির কাছাকাছি কিছু পেত্রা নগরীতে নেই। এই স্থাপত্যটি নগরের বেশ কাছে হলেও লুকানো অবস্থায় ছিল বলে এর সন্ধান পাওয়া কঠিন ছিলো।
বারমিংহামের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সারাহ পারকাক বলেন, ওই অঞ্চলের স্যাটেলাইট সার্ভে করার সময় আমরা জানতাম না, ঠিক কী খুঁজে পেতে যাচ্ছি। পেত্রা অনেক বড় জায়গা। মূল নগরের এত কাছে এমন একটি স্থাপত্য খুঁজে পাওয়া যাবে এটা আমরা ভাবিওনি।
এই বিরাট সিঁড়িসমেত ভবনটি কী কাজে লাগতো সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি ভূতত্ত্ববিদরা। গবেষক ক্রিস্টোফার টাটল বলেন, পেত্রার আশেপাশে ক্যালটিক যুগের ছোট ছোট স্থাপনা রয়েছে। ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য ব্যবহৃত হতো ওই সব স্থাপনা। কিন্তু সত্যি বলতে আমরা এই ভবনটি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু এখনও জানি না।