জার্মানিতে ইসলাম-বিরোধী ‘পেগিডা’ নেতার বিচার শুরু
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
অভিবাসন ও ইসলাম-বিরোধী বিতর্কিত উগ্রবাদী সংগঠন পেগিডার অন্যতম শীর্ষ নেতা লুতজ বাখমানের বিচার শুরু করেছে জার্মানি। তার বিরুদ্ধে বর্ণবাদি ঘৃণা উস্কে দেবার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের গরু-ছাগল এবং আবর্জনা বলে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছিলেন তিনি। তার ওই মন্তব্যের জেরেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
দেশটির একটি আদালত বলছে, তার ওই মন্তব্য শরণার্থীদের মর্যাদায় আঘাত হেনেছে। সরকারি কৌঁসুলি লরেন্স হাসে বলেন, বাখমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাখমান বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।
জার্মানিতে ইসলাম বিরোধী পেগিডা আন্দলোনের শুরু ২০১৪ সালে। জন্মলগ্ন থেকেই সংগঠনটি জার্মানির বিভিন্ন শহরে ইসলাম ও শরণার্থী-বিরোধী সভা সমাবেশের আয়োজন করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে শরণার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। গত বছর জার্মানিতে শরণার্থীদের এক হাজারেরও বেশি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার অধিকাংশের অভিযোগের আঙুল পেগিডা দিকে।
এই পেগিডা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ৪৩ বছর বয়সী লুৎস বাখমান। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে নানা অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে সাজা ভোগ কেরেছেন বাখমান। এমনকি জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। কোকেন রাখার দায়ে তাকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো।
১৯৯৮ সালে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় তাকে প্রায় চার বছরের মতো কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে যান। পরে তাকে জার্মানিতে ফিরিয়ে আনা হয়। বৈধ ভিসা না থাকার কারণেও তাকে জেল খাটতে হয়েছে।