জার্মানিতে বর্ষবরণে যৌন হয়রানি, হয়েছে ধর্ষণও
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এসে জার্মানিতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছন বেশ কিছু নারী। শারীরিক লাঞ্চনা, এমনকি ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে।
‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’ জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন নারী পুলিশের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে। তাদের অভিযোগ, কোলন সিটি সেন্টারের মধ্যে একদল পুরুষ তাদের যৌন নির্যাতন করেছে। এক নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, অন্তত ৮০ জন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৫ জন নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
কোলন পুলিশ প্রধান উলফগ্যাং আলবেস বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, একহাজারের বেশি পুরুষের একটি দল এ কাণ্ডের জন্য দায়ী। তারা দেখতে আরব বা উত্তর আফ্রিকার বাসিন্দাদের মত। তিনি বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের অপরাধ।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ তাদের ১৪৩ জন স্থানীয় এবং ৭০ জন কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। কিন্তু অন্ধকার ও প্রচণ্ড ভীড়ের কারণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে জানান আলবেস।
তবে ওই ব্যক্তিরা সবাই অপরিচিত নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তাদের কাউকে কাউকে স্থানীয়রা আগেও কয়েকবার দেখেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সেও এ ধরনের একটি খবর প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, বিখ্যাত কোলন গির্জার বাইরে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব চলার সময় কয়েকজন পুরুষ নারীদেরকে যৌন নির্যাতন করে এবং পকেট মারে।
রোমহর্ষক সে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার এক নারী বলেন, আমার পুরো শরীরে তারা হাত দিচ্ছিল। এ ছিল এক দুঃস্বপ্ন। আমরা চিৎকার করেছি এবং তাদের মেরেছি। তারপরও তারা থামেনি। আমি মরিয়া হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলাম। আমার মনে হয় ২০০ মিটার পথে আমার শরীরে প্রায় ১০০ বার হাত দেয়া হয়েছে। ভাগ্য ভালো যে আমি জ্যাকেট ও ট্রাউজার পরে ছিলাম। স্কার্ট পরে থাকলে তারা হয়ত সেটি ছিঁড়ে ফেলত।