জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ

Spread the love

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় বেধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছেন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

একই দিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে শিক্ষকদের সাথে সংহতি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নামার পর প্রথমে তাদের প্রতিরোধ করতে রাষ্ট্রের বাহিনী নামানো হয়। সরকার দলীয় কর্মীরাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের হতাহত করেছে’।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষকরা ক্যাম্পাস থেকে র‍্যালি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ প্রধান গেটের সামনে আসলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। পরে প্রধান গেট খুলে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় শিক্ষকরা কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে এখনো না ছাড়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে এখনো নিজেদের ‘হেফাজতে’ রেখেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

মঙ্গলবার অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের পিতা বদরুল ইসলাম বাংলাকে বলেন, “আমার ছেলেসহ অন্যদের ছেড়ে দেয়ার জন্য আমাদের ডিবি অফিসে যেতে বলে। পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দেয়ার পর জানানো হয় কিছুক্ষণের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হবে।”

অপর এক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সোমবার সকাল ১১টা থেকে রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষায় রাখার পর বলা হয়েছে হাইকোর্টের রিট হইছে সে জন্য নাকি ছাড়া যাবে না।”

যদিও কোটা আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোসহ নানা বিষয় নিয়ে গত সোমবার যে রিট হয় তার শুনানিতে মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলেছে, আটক ছয়জন সমন্বয়ককে আটক করা হলে আদালতে উপস্থিত করবে কিংবা রিমান্ড চাইতে হবে।

‘হেফাজতে’ নেয়ার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটক করা হয়নি।


Spread the love

Leave a Reply