টাওয়ার হ্যামলেটসে মেয়রাল পদ্ধতি নয়, লীডারশীপ সিস্টেমে ফিরে যেতে চান তারা

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ বাংলাদেশী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে নির্বাহী মেয়র নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল চেয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন কিছু সংখ্যক অধিবাসী। বিগত ২০১০ সাল থেকে টাওয়ার হ্যামলেটসে সরাসরি ভোটে ৪ বছরের জন্য মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যারা মেয়রাল পদ্ধতি বাতিলের জন্য ক্যাম্পেইন করছেন, তারাই ২০১০ সালে আন্দোলন সংগ্রাম করে এই পদ্ধতি চালু করেছিলেন। ব্রিটেনে এই প্রথম কোন কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মেয়র নির্বাচন হয়। ফলে ব্রিটেনে সবচেয়ে পাওয়ারফুল ও মর্যাদাপুর্ন কাউন্সিল হিসেবে টাওয়ার হ্যামলেটস স্থান করে নেয়। জনগনের ভোটে কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়ে নেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত লুতফুর রহমান। মেয়রাল পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সে সময় অগ্রভাগে ছিলেন লুতফুর রহমান সহ বর্তমান আন্দোলনকারিরা । নানা কারনে তারা তখন লুতফুর রহমান বিরোধী হয়ে কমিউনিটিতে বিভাজন সৃস্টি করেন। আজ সেই তারাই আবার মেয়রাল পদ্ধতি বাতিলের ক্যাম্পেইন
শুরু করেছেন।

ক্যাম্পেইনারদের দাবি, বর্তমান প্রদ্ধতিতে নির্বাচিত মেয়রের ক্ষমতা অধিক হওয়ায়, ক্ষমতার অপব্যহারে মেয়রগন অনেকটা স্বৈরাচারি ভূমিকায় অবর্তীন হচ্ছেন । বিগত ৯ বছরের নির্বাচিত মেয়রগন জনগনের কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। এমন কি নির্বাচিত কাউন্সিলারদের যথাযথভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করা হয়।
এ উপলক্ষে পূর্ব লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে এক সভার আয়োজন করা হয়। ডেমোক্রেসি টাওয়ার হ্যামলেটসের উদ্যোগে মেয়রেল সিস্টেম বাতিল করে পূর্বের ন্যায় লিডারশীপ সিস্টেম চালুর জন্য ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এই সভার আয়োজন । এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায়ী আজমল হোসেন এবং পরিচালনা করেন খালিছ উদ্দিন। সভায় তাদের সাথে যোগ দেন কাউন্সিলর পিটার গোল্ড, লিবডেমের ডেবী সিমন, সাবেক মেয়র গোলাম মোতুর্জা, আলহাজ্ব ছমির উদ্দিন, সাবেক লীডার আলাউদ্দিন, হেলাল আব্বাস, বিএমই চেয়ার জুনায়েদ আহমদ চৌধুরী, রুহেল আমিন সহ কিছু সংখ্যক অধিবাসী।

সভায় দাবী করা হয়, ৯ বছর আগে রেফারেন্ডামের মাধ্যমে যে সিস্টেম এসেছিল তা আজ হিতে বিপরীত হয়েছে। জনসাধারণের অধিকার রক্ষার জন্য এই সিস্টেমে কিছুই করা সম্ভব হয় নাই। তাই পুরনো লীডারশীপ সিস্টেমে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।
ক্যাম্পেইনাররা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের ১২ হাজার সিগনেসার নিতে পারলেই এই পদ্ধতি বাতিলের জন্য রেফারেন্ডামে আনা যাবে। আর তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের এই পদ্ধতি বাতিলে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।


Spread the love

Leave a Reply