টিউলিপ দুই ভুবনের রাজনীতিতেই স্বস্তিতে নেই

Spread the love

একজন ব্রিটিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি অবস্থান নেওয়াটা নিঃসন্দেহে একটি বিরল ঘটনা।

সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ‘সরাসরি লুটপাটের’ সুবিধাভোগী হওয়ার অভিযোগ আনেন এবং তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ ঘটনার পরপরই দ্রুত পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে টিউলিপের চীনে একটি সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেই সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে আনেন এবং নিজেই মন্ত্রিত্ববিষয়ক নৈতিকতার উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের অভিযোগ মূল্যায়নের আহ্বান জানান এবং শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। (অবশ্য টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ‘সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছেন।)

এই মাসে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছিলেন এমন এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে, যিনি টিউলিপের খালা ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

টিউলিপ প্রথমে দাবি করেছিলেন, ফ্ল্যাটটি তিনি তাঁর বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। তবে পরে তিনি লরি ম্যাগনাসকে জানান, ফ্ল্যাটটি আসলে একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর দেওয়া উপহার ছিল এবং এই তথ্য তিনি অল্প কিছুদিন আগে জানতে পেরেছেন।

টিউলিপ ২০১৮ সাল পর্যন্ত হ্যাম্পস্টেডের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। সেই ফ্ল্যাটটি ছিল তাঁর বোনের নামে। সেটি আরেকজন ব্যবসায়ী দিয়েছিলেন এবং সেই ব্যবসায়ীও হাসিনার সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বর্তমানে টিউলিপ যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেটির মালিকও ব্রিটেনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যবসায়ী।

টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়ের পর এক বিজয় সমাবেশে তিনি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আওয়ামী লীগ নেতাদের অবিচল সমর্থনের জন্য বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন।

এদিকে ২০১৩ সালের একটি ছবি সামনে এসেছে। সেই ছবিতে টিউলিপ সিদ্দিককে তাঁর খালা শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা গেছে। বাংলাদেশে ১২ বিলিয়ন ডলারের (৯.৮ বিলিয়ন পাউন্ড) একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ছবি ছিল সেটি।

মন্ত্রিত্ববিষয়ক নৈতিকতার স্বাধীন উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে টিউলিপ এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, তিনি সে সময় সামাজিক সফরে মস্কোয় ছিলেন এবং পর্যটক হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন। লরি ম্যাগনাস টিউলিপের সে ব্যাখ্যা গ্রহণও করেছিলেন। তবে এই চুক্তি নিয়ে এখন বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে।

টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের ফ্ল্যাটগুলোর বিষয়ে কোনো নিয়ম ভেঙেছেন বা এসব ফ্ল্যাটবিষয়ক লেনদেন অবৈধ ছিল—তদন্তে এমন কোনো প্রমাণ ম্যাগনাস পাননি। তবে ম্যাগনাস বলেছেন, তাঁর কাছে এ বিষয়ে যত তথ্য এসেছে, তা অপ্রতুল। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের পারিবারিক সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত ভাবমূর্তির ঝুঁকি সম্পর্কে টিউলিপের ‘আরও সচেতন’ থাকা উচিত ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, টিউলিপের দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের চিন্তা করা উচিত।

এ পরিস্থিতিতে টিউলিপের পক্ষে আর নিজের অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব ছিল না। ফলে শেষ পর্যন্ত তাঁর সামনে একমাত্র পথ ছিল পদত্যাগ করা।

শেখ হাসিনা যদি এ মুহূর্তে ক্ষমতায় থাকতেন, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু তাঁর শাসন উত্তরোত্তর অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তিনি গত বছরের আগস্টে লজ্জাজনকভাবে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ কোটার অবসান চেয়ে ঢাকার রাস্তায় ছাত্ররা বিক্ষোভে নেমেছিল। মূলত এই কোটা ছিল একধরনের স্বজনপ্রীতির সুবিধা। এই কোটা রাজনৈতিক সমর্থকদের সরকারি চাকরি পেতে সহায়তা করত। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই কোটা চালু থাকার সুযোগ ছিল।

কোটাবিরোধী ছাত্রদের দমনে হাসিনা পুলিশকে বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাসিনা ছাত্রদের দাবি শোনার বদলে তাঁদের ‘রাজাকার’ (এটি একটি ঘৃণিত শব্দ, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়) বলে আখ্যায়িত করেন। একপর্যায়ে এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় এবং সহিংস ঘটনায় সহস্রাধিক ছাত্র ও অন্যান্য বিক্ষোভকারী নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের অনেকেই নিরস্ত্র ছিলেন এবং তাঁদের খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মামলা ও তদন্তের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। তবে হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে উত্থাপিত প্রশ্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল রক্তক্ষয়ী। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর দেশভাগের পর যে পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল, বাংলাদেশ সেই পাকিস্তানের অংশ ছিল। পাকিস্তান মূলত উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে উর্দু ছিল জাতীয় ভাষা। দেশটির পশ্চিম অংশ ছিল পাঞ্জাবি-অধ্যুষিত, আর পূর্ব অংশ যা পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল, তারা ছিল বাংলা ভাষাভাষী। এ দুই অংশের মধ্যে ছিল এক হাজার মাইলের দূরত্ব। এই দূরত্বের মাঝখানে ছিল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারত।

পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বাংলা ভাষাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান তাতে বাধা দেয়। ১৯৬০-এর দশকে অসন্তোষ বাড়তে থাকে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় লাভ করে। এই জয় তাঁকে পুরো পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা গ্রহণের সুযোগ এনে দেয়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা, বিশেষ করে সামরিক শাসকেরা, এতে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন।

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালায়। এ অভিযানে হাজার হাজার পূর্ব পাকিস্তানিকে হত্যা করা হয় এবং নেতাদের (যাঁদের মধ্যে শেখ মুজিবও ছিলেন) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরবর্তী ৯ মাসের যুদ্ধে লক্ষাধিক বাংলাভাষী ও অন্যান্য পূর্ব পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হন; অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হন এবং এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথমে নৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দেন এবং পরে বাংলাদেশি গেরিলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণও দেন।

ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে ভারত পাল্টা আঘাত হানে এবং মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ভারত বাংলাদেশকে মুক্ত করে। এরপর বেশির ভাগ শরণার্থী বাংলাদেশে ফিরে আসে। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।

কিন্তু ১৯৭৪ সালের পর শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। ওই সময়টাতে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশের অনেক অংশকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। ক্ষমতা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখার জন্য শেখ মুজিব একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেন এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দেশ চালাতে থাকেন।
১৯৭৫ সালের আগস্টে কিছু জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যা করে। তবে হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানা (টিউলিপ সিদ্দিকের মা) বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

হাসিনা ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে দেশে ফেরেন এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়ে জোট সরকার গঠন করেন।

এরপর ২০০৮ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় আসেন। এটি ছিল বাংলাদেশের সর্বশেষ সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাসিনাও কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠেন। আওয়ামী লীগ পরবর্তী টানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হলেও প্রধান বিরোধী দল দুটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং একটিতে ভোট শুরুর পরপরই ব্যাপক কারচুপি ও ভয়ভীতির মাত্রা বুঝতে পেরে বর্জন করেছিল।

হাসিনার শাসনামলে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল; গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল এবং ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শেখ মুজিবের ভাবমূর্তি পুনর্বাসনে হাসিনা অনেক চেষ্টা করলেও তাঁর শাসনের প্রতি এতটাই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পর মুজিবের ঐতিহাসিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়, তাঁর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয় এবং তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

শেখ মুজিবের এই অবমাননার জন্য হাসিনাই মূলত দায়ী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি নিজেকে ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর শক্তিশালী মিত্র হিসেবে পেয়েছিলেন।
অন্যদিকে টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ইস্যুতে, বিশেষ করে সিরিয়া ও গাজার বিষয়ে সোচ্চার থাকলেও বাংলাদেশের ক্রমেই অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একদম নীরব ছিলেন। বাংলাদেশের গুম, খুন নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি সব সময় বলতেন, তিনি ‘একজন ব্রিটিশ এমপি’।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত, বাংলাদেশে টিউলিপের পারিবারিক সম্পর্কই তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছিল। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান মনসুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক জোর করে একীভূতকরণ, অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে আমদানি বিল তৈরি ও অন্যান্য সন্দেহজনক পন্থায় প্রায় ২ ট্রিলিয়ন টাকা (১৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ড) দেশ থেকে পাচার করেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে টিউলিপ সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মামলা ও তদন্তের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। তবে হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে উত্থাপিত প্রশ্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।

বিশ্বব্যাংক যখন ১.২ বিলিয়ন ডলারের পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করেছিল, তখন সেটির ভিত্তি ছিল বিশ্বাসযোগ্য দুর্নীতির অভিযোগ। এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিশেষজ্ঞরা গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মানবাধিকারকর্মীদের দমন করার কারণে হাসিনার সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

রাজনীতি এক নির্মম খেলা। টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের এমন দুটি ভিন্ন জগতের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন, যেখানকার নিয়মকানুন একেবারে আলাদা ছিল।
এখন বাংলাদেশ ও ব্রিটেন—কোনো জায়গাতেই তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি আর আগের মতো নেই। ফলে এই দুই ভুবনের কোথাও তিনি প্রকৃত স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন না।

  • সলিল ত্রিপাঠি দ্য কর্নেল হু উড নট রিপেন্ট: দ্য বাংলাদেশ ওয়ার অ্যান্ড ইটস আনকোয়াইট লেগাসি বইয়ের লেখক।

    দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া ইংরেজি থেকে অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ


Spread the love

Leave a Reply