ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করল আদালত
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যে নির্বাহী আদেশের জেরে আমেরিকার ভিসাপ্রাপ্ত বা শরণার্থী বহু ব্যক্তি বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন, সেই আদেশের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছেন একজন মার্কিন বিচারপতি।
শুক্রবার জারি করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন।
ওই সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী, ওই আদেশের জেরে ১০০ থেকে ২০০জনের মতো লোক বিভিন্ন বিমানবন্দরে বা ট্রানজিটে আটকে পড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের ফলে আমেরিকার পুরো শরণার্থী কর্মসূচীই থমকে গেছে।
তা ছাড়া ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলির নাগরিকদের আমেরিকা সফরের ওপর ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞাও আরোপিত হয়েছে।
যারা তখন মাঝ-আকাশে ছিলেন তাদের অনেককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর আটকানো হয়েছে – যদিও তাদের বৈধ মার্কিন ভিসা কিংবা অন্যান্য অভিবাসন পারমিট ছিল।
গতকাল শনিবার মি ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “এটা দারুণ কাজ করছে। আপনারা বিমানবন্দরগুলোতে সেটা দেখতে পাচ্ছেন, সর্বত্রই দেখতে পাচ্ছেন!”
কিন্তু এখন নিউ ইয়র্কের মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জাজ অ্যান ডনেলি তার রায়ে বলেছেন যে সব শরণার্থীর আবেদন আগেই অনুমোদিত হয়েছে কিংবা অন্য যে সব ব্যক্তির বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা বা পারমিট আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া এই রায়ে আরও বলা হয়েছে এর ফলে যারা প্রভাবিত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ‘প্রবল ও অপূরণীয় ক্ষত’ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
তবে ডিস্ট্রিক্ট জাজ অ্যান ডনেলি-র এই রায়ে মি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের সাংবিধানিকতা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
তবে বিভিন্ন বিমানবন্দরে যারা আটকে পড়েছেন তাদের ঠিক কী হবে, সেটা এই রায়ের পরও স্পষ্ট হয়নি।
ওদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আদেশের জেরে যারা সরাসরি প্রভাবিত হয়েছেন তারা বলছেন তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে – প্রবল হতাশা ঘিরে ধরছে তাদের।
জার্মানিতে বসবাসরত একজন সিরিয়ান বিজ্ঞানী, যিনি ত্বক ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করেন, তিনি এখন আগামী মাসে ফিলাডেলফিয়াতে তার সহকর্মীদের কাছে বেড়াতে যেতে পারবেন না।
ওই মহিলা বিজ্ঞানীর কথায়, “এই অবিচারের অনুভূতিটা সাঙ্ঘাতিক, আর এই নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত অবমাননাকর।”
জর্ডানের একজন মার্কিন-নিবাসী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, যার সিরিয়ান স্ত্রী আমেরিকায় তার কাছে আসতে পারবেন না, তিনিও বলেছেন তার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।