ডাক্তাররা আন্দোলনের নামে রাজনীতি করছে-ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃবিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারী ব্রিটিশ জুনিয়ার ডাক্তারা সেপ্টেম্বরের ১২ থেকে ১৬ তারিখ সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘটের ঘোষনা দিয়েছে। ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) তবে আন্দোলনকে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
থেরেসা মে জুনিয়র ডাক্তারদের চুক্তি অনুযায়ী জরুরী রোগীদের নিরাপদে দেখার আহবান জানান।
তিনি প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে জেরেমি হান্টকে সমর্থন করে বলেছেন ‘সে একজন ভাল হেলথ সেক্রেটারী’।
তিনি ইউনিয়নকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহবান জানান এবং এনএইচএস তহবিলকে সমৃদ্ধ করতে এবং রেকর্ড সংখ্যক ডাক্তার বের করে আনতে তাদের সহযাগিতা চান।
তিনি বলেন, সরকার প্রথমে রোগীদের সেবা দেখতে চায়। এসোসিয়েশনেরও উচিত প্রথমে রোগীদের দেখা, এটি নিয়ে রাজনীতি না করা।
হেলথ সেক্রেটারী বলেছেন পাঁচদিনের ধর্মঘট রোগীদের জন্য কষ্টের করন হবে। এতে প্রায় ১শ হাজার অপারেশন এবং মিলিয়ন মানুষের এপয়েন্টমেন্ট বাতিল হতে পারে।
ধর্মঘটটি আগামী ১২ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন ভোর আটটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
এনএইচএস ট্রাষ্টের চীফ এক্সিকিউটিব ক্রিস হপসন বলেছেন এই ধর্মঘট রোগীদের একটি বড় সংখ্যার উপর গুরুতর প্রভাব পড়বে। অনেক অপারেশন বাতিল হবে।
এসোসিয়েনের চেয়ারম্যান ডা: মার্ক পোর্টার বলেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের উপর সরকার চুক্তি চাপিয়ে দিচ্ছে, তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও। তিনি বলেন, বিএমএ কাউন্সিল জনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সাথে থাকবে।
জানাগেছে হেলথ সেক্রেটারী ২০১২ সালে ডাক্তারদের সাথে একটি নতুন চুক্তি ও শর্তারোপ করার ঘোষণা দেন। যা মূলত ১৯৯০ সালে এটি পরিবর্তনের জন্য ্একমত হয়েছিল উভয়পক্ষ। ২০১৪ সালে আলোচনা শুরু হওয়ার পর সেটি ভেঙ্গে যায় ২০১৫ সালে। তখন হেলথ সেক্রেটারী জেরিম হান্ট ঘোষণা করে বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেয়ার অনুযায়ী সাত দিন রোগীদের সার্ভিস দিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যেতেই হবে।
এর প্রতিবাদে বিভিন্ন দাবী নিয়ে ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সদস্যদের ৯৮ভাগ ভোটে ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর পর আলোচনা আরো এক বছর চললেও কোন নতুন চুক্তিত যেতে পারেনি তারা। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারী মাসে হেলথ সেক্রেটারী সামার থেকে চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েদেন।
এর প্রতিবাদে এনএইচএস এর ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক বছরের প্রথম চার মাসে ৬টি ধর্মঘট ডাকা হয়। এর মধ্যে দুটি ছিল অল আউট স্টপপেইজ।