ডাচদের হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে মাশরাফি বাহিনী। অবশ্য অচেনা কন্ডিশনও বাঁধা হয়ে দাড়ানোয় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়টি খুব একটা স্বাচ্ছন্দে আসেনি। প্রথম রাউন্ডে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের ধর্মশালায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের অপরাজিত ৮৩ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে বাংলাদেশ। ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে শেষ হয়েছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস।

জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সতর্কভাবেই করেছিল নেদারল্যান্ডস। উদ্বোধনী জুটিতে ২১ রান জমা করেছিলেন ওয়েসলি বারেসি ও স্টেফান মেবার্গ। তবে পঞ্চম ওভারে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন আল-আমিন। ডিপ স্কয়্যার লেগে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন বারেসি (৯)। তবে এই স্বস্তিও খুব বেশিক্ষণ থাকেনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ রানের জুটি গড়ে আবার বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন মেবার্গ ও বেন কুপার। নবম ওভারের প্রথম বলে মেবার্গকে আউট করেছেন নাসির হোসেন। দ্বাদশ ওভারে বেন কুপারকেও সাজঘরমুখী করেছেন সাকিব আল হাসান।

চতুর্থ উইকেটে ২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বাংলাদেশের জন্য আবার বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন অধিনায়ক পিটার বোরেন ও টম কুপার। ১৬তম ওভারে ২৯ রান করা বোরেনকে আউট করে বাংলাদেশকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন সাকিব। পরের ওভারে ফন ডার মারউইকে সাজঘরে ফেরান মাশরাফি। শেষ দুই ওভারে নেদারল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো ৩৩ রান। ম্যাচের ১৯ নাম্বার ওভারে ১৬ রান দিয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন আল আমিন। শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে দেশকে ৮ রানের জয় এনেদেন তাসকিন। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়েছেন এই পেসার।

দারুণ বোলিং করেছেন টাইগারি দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও আল-আমিন।

ম্যাচসেরা তামিম ইকবাল
ম্যাচসেরা তামিম ইকবাল

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। মাত্র ৮.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ তুলে ফেলে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বড় স্কোরে অবদান রাখেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের। তিনি ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৮ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটি।

তামিম একপাশ আগলে রেখে ফিফটি করলেও অন্যদিক থেকে ঝুরঝুর করে পড়তে থাকে উইকেট। চতুর্থ ওভারে ১৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার। নবম ওভারে সাব্বিরও আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। একাদশ ওভারে আউট হওয়ার আগে সাকিব করতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান। দারুণ ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহও জ্বলে উঠতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১০ রান করে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৩ রান এসেছে নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে। শেষপর্যায়ে মাশরাফির ৭ ও আরাফাত সানির ৮ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৫৩ রান জমা করে বাংলাদেশ। ৮৩ রানে অপরাজিত থাকায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের মারকুটে ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।


Spread the love

Leave a Reply