ডেগেনহ্যাম মদীনা মসজিদের জরুরী ফান্ডরেইজিং অ্যাপিল বৃহস্পতিবার : সাহায্যের আকুল আবেদন

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ: প্রায় বছরব্যাপী করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছে পূর্ব লন্ডনের ডেগেনহ্যাম ইস্ট এলাকার ‘মদীনা জামে মসজিদ’। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি মসজিদ সম্প্রসারনের লক্ষে‌ সংগৃহিত করজে হাসানার অর্থও ফিরিয়ে দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে । আর তাই মসজিদ কমিটি ৫০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহের লক্ষ্যে ফান্ডরেইজিং অ্যাপিলের আয়োজন করেছে । ১১ ফেব্রুয়ারি বৃস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত টিভি-ওয়ানে (স্কাই ৭৮১) এই ফান্ডরেইজিং চলবে । এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আসতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে সর্বস্তরের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে বেরিয়ে এসে পূর্ব লন্ডনের বার্কিং ও ডেগেনহাম এলাকায় বসবাস শুরু করেছেন । বিশেষ করে ডেগেনহ্যাম ইস্ট এলাকায় বাঙালি কমিউনিটি দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে । এখানে প্রায় ৩শ বাংলাদেশী মুসলিম পরিবার বসবাস করেন । ক্রমবর্ধমান মুসলিম কমিউনিটির ধর্মীয় কর্মকান্ড সম্পাদনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ একটি প্রোপার্টি ক্রয় করে মদীনা মসজিদের কার্যক্রম শুরু করেন । তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদে প্রতি জামাতে প্রায় ১৭০ জন মুসল্লির স্থান সংকুলান হয় ।প্রতি শুক্রবারে দুইটি জামাতে প্রায় ৪০০ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। কিন্তু বর্তমানে কমিউনিটি সম্প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে মসজিদ সম্প্রসারিত না হওয়ায় মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান কঠিন হয়ে পড়েছে । আর তাই গত বছর মসজিদ সংলগ্ন আরো একটি প্রোপার্টি প্রায় ৪০০ হাজার পাউন্ডে ক্রয় করা হয় । এই ৪০০ হাজারের মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার পাউন্ড আসে ডনেশন হিসেবে আর বাকি ৩৫০ হাজার পাউণ্ড আসে ক্বরজে হাসানা বাবদ । যেহেতু ক্বরজে হাসানা দাতার প্রয়োজন অনুযায়ী যথাসময়ে ফেরত দিতে হয় তাই মসজিদের একাউন্টে পর্যন্ত ফান্ড জমা রাখতে হয়। গত এক বছরের অধিকাংশ সময় কোভিড মহামারির কারণে মসজিদ বন্ধ থাকায় প্রতি শুক্রবারের সীমিত ফান্ডরেইজ ছাড়া অন্য কোনো বড় ফান্ডরেইজিং কর্মসূচি পরিচালনার সুযোগ হয়নি। ফলে ক্বরজে হাসানার অর্থ ফিরিয়ে দিতে পর্যাপ্ত অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে কমপক্ষে ৫০ হাজার পাউন্ডের ফান্ড প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তহুর আলী সাপ্তাহিক দেশকে বলেন, শুরু থেকেই যারা মসজিদে ক্বরজে হাসানা দিয়ে আসছেন আমরা দাতার প্রয়োজন অনুযায়ী যথাসময়ে ফেরত দিয়ে আসছি। কোনোদিনও ক্বরজে হাসানার অর্থ পরিশোধে বিলম্ব হয়নি। আর ভবিষ্যতেও হবেনা ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, এখনও আমাদের তহবিলে কিছু অর্থ

আছে । ক্বরজে হাসানার অর্থ চাওয়া মাত্র ফেরত দিতে পারছি । তবে আমরা মসজিদের তহবিলকে সমৃদ্ধ রাখতে চাই। যাতে যে কেউ চাওয়া মাত্র ক্বরজে হাসানা ফেরত দিতে কোনো অসুবিধা না হয়।
তাই তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী ডোনেশন অথবা ক্বরজে হাসানা- যেভাবে পারেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আসুন। এটি আপনাদের মসজিদ। আমরা কাল থাকবো না। কিন্তু এই মসজিদ ক্বেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। যারা অর্থ সাহায্য দেবেন ক্বেয়ামত পর্যন্ত সাদাকায়ে জারিয়ার প্রতিফল পেতে থাকবেন। সকলের সহযোগিতায় আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ধর্মকর্ম পালনের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা রেখে যেতে পারছি এটা সকলের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার । তিনি মসজিদের জন্মলগ্ন থেকে যারা অর্থ ও পরিশ্রম দিয়ে সাহায্য করে আসছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং নিচের একাউন্টে যেকেনো অংকের সাহায্য ট্রান্সফার করে মসজিদের পাশে থাকতে অনুরোধ করেন। Madina Foundation Dagenham East, Sort code 20-25-19 । Account 13413063। Barclays bank।


Spread the love

Leave a Reply