ঢাকার শনির আখড়ায় পুলিশের গুলিতে যুবক নিহত, বাবা-ছেলেসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সিয়াম (১৮) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এ নিয়ে চলমান কোটা আন্দোলনে ৭ জনের মৃত্যু হলো।
সিয়াম গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী ছিলেন। রাতে বাসায় ফেরার পথে হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সিয়াম।
বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, বাবু মিয়া (৫০) ও তার দুই বছরের ছেলে রোহিত মিয়া, পথচারী পিয়াস (১৭), মনিরুল (২০), সোহাগ (২৭) ও ফয়সাল (১৮)। এদের মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হাসপাতালে আহত শিশুটির মা লিপি আক্তার জানান, তাদের বাসা শনির আখড়ায়। সন্ধ্যায় বাসার সামনের রাস্তায় কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এদিকে শিশুটি বাসায় কান্নাকাটি করতে থাকায় তার বাবা বাবু মিয়া কোলে নিয়ে বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তার পরিস্থিতি দেখছিলেন। তখন গুলি এসে শিশুটির বাবার মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এ ছাড়া কোলে থাকা শিশু রহিতের ডান হাতে এবং বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আহত মাহিম আহমেদ পিয়াস (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, সে দনিয়ায় ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বিকেলে কোচিং শেষ করে বাসায় ফিরছিল। তখন শনির আখড়ায় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গেলে গুলিতে সে আহত হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শনির আখড়া থেকে আসা আহত ৬ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কোটা আন্দোলনের ঘটনায় অন্তত ৫২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে আন্দোলনকারী, ছাত্রলীগ সদস্য, পুলিশ ও সাংবাদিক রয়েছেন। গুরুতর ৫ জনকে এদিন ভর্তি রাখা হয়।