ঢাকায় নিহত ২৮ জনের ৯ জন ইটালিয়ান, ৭ জন জাপানি ও ৩ জন বাংলাদেশি
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় অন্তত ন’জন ইটালিয়ান নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।আরো একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিদেশি।
কিন্তু তাদের নাম পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি। অন্য সুত্র বলছে নিহত ২৮ জন । তবে আইএস বলছে ২৪ জন ।এর মধ্যে ২ জন পুলিশ ২০ জন বিদেশী নাগরিক বলে ঘোষনা করেছে ।সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, মৃতদেহ শনাক্ত করার কাজ চলছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, কয়েকজন বাংলাদেশিও নিহত হয়েছেন।
ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেন্টিলনি সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা ন’জনক চিহ্নিত করেছি যারা ইটালিয়ান। আরো একজন আছেন যার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি হয়তো লুকিয়ে আছেন অথবা আহত হয়েছেন। আমরা তাকে খুঁজছি।”
আর আগে ইটালির প্রধানমন্ত্রী মাটিও রেনজিও তার দেশে টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হন। এবং বড়ো ধরনের একটি দুঃসংবাদের জন্যে তার দেশকে প্রস্তুত থাকতে বলেন।
ইটালির ঠিক কতোজন নাগরিক মারা গেছেন সেবিষয়ে তিনি কিছু বলেননি, তবে বলেছেন, “হামলাকারীরা তাদের মূল্যবোধকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তাদের এই মূল্যবোধ, ঘৃণা ও সন্ত্রাসের চেয়েও শক্তিশালী।”
মি. রেনজি বলেছেন, “হামলাকারীদের কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। সন্ত্রাসীদেরকে আরো শক্ত হাতে জবাব দেওয়া হবে।”
ইটালির একটি সংবাদ সংস্থা- আনসা বলছে, সম্ভবত ১০ জন ইটালিয়ান মারা গেছেন এবং তারা বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরে কাজ করতেন।
এর আগে এই গুলশানেই জঙ্গিদের হাতে তাভেলা চেজারে নামে একজন ইটালিয়ান নিহত হন।
হামলায় কতজন জাপানি মারা গেছেন সেটাও জানা যায়নি।
জাপানের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, রেস্তোরাঁতে তাদের সাতজন নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। তবে সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। তাদের পরিণতি সম্পর্কেও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, জাপানি সাহায্য কর্মীরা বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বাত্মকভাবেই কাজ করছিলো।
এধরনের একটি নির্মম ঘটনায় তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, তার দেশের একজন নাগরিকও জঙ্গিদের হাতে নিহত হয়েছে।