ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে কর্তৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিল

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্টঃ  ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে গত ৬ই এপ্রিল বুধবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেনে একটি রেষ্টুরেন্টে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান এতে সভাপতিত্ব করেন আর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। এ আয়োজনে সংগঠনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য, তাদের পরিবারবর্গ ও বেশ কয়েকজন আমন্ত্রিত অতিথি যোগ দেন।
সভাপতি তাঁর হ্রস্বীকৃত/অল্প কয়েক মিনিটের বক্তৃতায় পবিত্র রমজান মাসের গুরুত্বকে অতি সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
দেওয়ান গৌস সুলতান বিগত আড়াই মাস ধরে বাংলাদেশে তাঁর অবস্থানকালে দুটি অর্জনের কথা সকলকে অবহিত করেন। গত বছর ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে, দ্বৈত শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত চার মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার একটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা শিক্ষার্থী এবং নারী শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের অগ্রদূত বিপ্লবী লীলা নাগের স্মৃতি রক্ষার জন্য যে একটি প্রস্তাব গ্রহন করেছিল, ইতোমধ্যেই তার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ লীলা নাগ পরীক্ষা কেন্দ্র নামে একটি ভবনের নামকরণ করেছে। এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। এছাড়া, ঢা:ই: অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত ট্রাস্ট ফান্ডের প্রথম দফায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-প্রদান করা হয় যা অনাদিকাল চালু থাকবে। বৃত্তি-প্রদান অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিষ্ট্রারসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি নিজেও উপস্থিত থেকে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি তুলে দেন। অত্র সংগঠন কর্তৃক আগামী মে মাসে শিক্ষা বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এতে সকলকে যোগ দেবার আমন্ত্রণ জানান।


ইফতারের অব্যবহিত আগে সংগঠনের সদস্য ডঃ আশরাফ মাহমুদ দোয়া পরিচালনা করেন। এতে মহান আল্লাহ্ তা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত রেখে এবং ভেদাভেদ ভুলে থেকে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক বজায় রেখে জীবন যাপনের একান্ত প্রয়াসের সামর্থ চেয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়।
সংগঠনের প্রয়াত সদস্য ফয়জুন নাহার চৌধুরীর (সুমি) আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মাহফিলে দোয়া করা হয়। গেল ৩রা এপ্রিল সোমবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, মৃত্যুকালে যার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
অত্যন্ত ভাব-গম্ভীর পরিবেশটি পারস্পরিক স্বতঃস্ফূর্ত ভাবের আদান-প্রদানের মাধ্যমে কিছুক্ষণের জন্যে আনন্দমুখর হয়ে ওঠে এবং মিলন মেলায় রূপ নেয়। এ আয়োজনের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, সৈয়দ ইকবাল ও সৈয়দ হামিদুল হক। পরিশেষে সভাপতি কষ্ট করে ও ত্যাগ স্বীকার করে আসার জন্য সবাইকে এবং আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


Spread the love

Leave a Reply