তারেক রহমানঃ ভবিষ্যতের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সম্ভাবনা

Spread the love

সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী:

তারেক রহমানকে ঘিরে সাম্প্রতিক আলোচনা ও তার কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমানের রাজনৈতিক দক্ষতা, কৌশল এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি তাকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণ এবং এর তাৎপর্যঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণ তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এটি কেবল তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তিকে দৃঢ় করেছে তা নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের ইতিবাচক মনোভাবকেও ইঙ্গিত করে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেখানে এই আমন্ত্রণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

অস্থায়ী সংকটকালে তারেক রহমানের নেতৃত্বঃ

৫-৮ আগস্ট বাংলাদেশে যখন কার্যত কোনো কার্যকর সরকার ছিল না, তখন তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব দেশকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছিল। সেই সংকটকালে তার শান্ত এবং সুসংগঠিত পদক্ষেপ বাংলাদেশকে আরও বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। তিনি শুধু বর্তমান সংকট মোকাবিলা করেননি, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিকল্পনার রূপরেখাও তৈরি করেছিলেন।

৩১ দফা কর্মসূচি: একটি জনমুখী পরিকল্পনা

তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য এক নতুন আশার দিকনির্দেশনা। এই কর্মসূচি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি দমন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করে। এটি শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা।

আওয়ামী লীগ এবং তাদের দুর্নীতির অভিযোগঃ

বাংলাদেশের বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রীত্ব কেনা এবং সায়মা ওয়াজেদের WHO-এর পদ নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ তাদের ক্ষমতার লোভকে স্পষ্ট করে। এসব কর্মকাণ্ড জনগণের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি করেছে এবং নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালো হয়েছে।

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের দিকনির্দেশনাঃ

বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এই দেশের জনগণ দক্ষ নেতৃত্ব এবং স্বচ্ছ রাজনীতির মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চায়। তারেক রহমানের নেতৃত্ব এবং কর্মসূচি সেই আশার জায়গাটি পূরণ করতে পারে। তার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা, স্থির নেতৃত্ব এবং জনমুখী পরিকল্পনা তাকে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট।

উপসংহারঃ

বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সচেতন। তারা এমন এক নেতা চায়, যিনি শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য রাজনীতি করবেন না, বরং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তারেক রহমানের কর্মপরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে, তিনি সেই নেতা হতে পারেন।

(লেখকঃ পরিচালক, সেন্টার ফর ডেমক্রেসী এন্ড গুড গভর্নেন্স)


Spread the love

Leave a Reply