তারেক রহমানে ঈদ শুভেচ্ছা

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এক শুভেচ্ছা বার্তায় তারেক রহমান বলেন, সতেরো বছর ধরে, বাংলাদেশের নির্যাতিত জনগণ প্রার্থনা করেছিল যে তারা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবে – যেখানে স্বৈরাচার আর তাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করতে পারেনি। ২০২৪ সালে, সেই প্রার্থনার জবাব দেওয়া হয়েছিল। এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে, দুই হাজারেরও বেশি জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছিল। প্রায় দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো, এই ঈদে আমরা স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত একটি দেশে পবিত্র রমজান মাসের পর এই বরকতময় দিনটি উদযাপন করছি। সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, আমি এই স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার জন্য এবং সেই সংগ্রামের ক্ষত বহনকারী শহীদদের জন্য প্রার্থনা করছি।

এই সর্বজনীন ঐক্যের উপলক্ষ্যে, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সকল বাংলাদেশীকে আহ্বান জানাচ্ছি, স্বৈরাচারমুক্ত দেশে আমাদের প্রথম ঈদের আনন্দ প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন এমন পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে।

জনাব রহমান বলেন, যাদের সময় এবং সামর্থ্য আছে, আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে আপনারা আপনাদের সম্প্রদায়ের মানুষের যত্ন নিন, আপনাদের দেশের নারী-পুরুষদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। এতিমখানায় থাকা শিশুদের সাথে খাবার ভাগাভাগি করুন – তরুণরা, যারা পরিবারের অনুপস্থিতিতে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে বাধ্য। দরিদ্রদের প্রতি আপনার সমর্থন জানান, যাতে অর্থনৈতিক দুর্দশা তাদের আনন্দের এই মুহূর্তটি কেড়ে না নেয়।

আমি পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের কাছে আবেদন করছি যে অতিরিক্ত ভাড়া আরোপ করা থেকে বিরত থাকুন, যাতে বাড়িগামী যাত্রীরা অযথা বোঝা ছাড়াই তাদের পরিবারের সাথে ঈদের জন্য পুনরায় মিলিত হতে না পারেন।

আমরা যখন উৎসব করি, তখনও অতীতের শক্তি আমাদের জাতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য মরিয়া। আমি সকল নাগরিককে সতর্ক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, যারা এই কষ্টার্জিত শান্তিকে ব্যাহত করতে চায় তারা যেন তাদের এজেন্ডার জন্য ঈদের ছুটিকে কাজে লাগাতে না পারে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে ব্যর্থ হই, তাহলে এই শক্তিগুলিকে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়কে নষ্ট করার সুযোগ করে দেওয়ার ঝুঁকি আমাদের রয়েছে।

পরিশেষে, আমি আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে ঈদের সময় আরও সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি করতে বাধা দিন।

মুক্ত বাংলাদেশে এই প্রথম ঈদ হোক সকলের জন্য শান্তি, ঐক্য এবং আনন্দের ভাগ। আমি আল্লাহর কাছে এই দোয়া প্রার্থনা করছি।