তুরস্কের সতর্কবার্তা আমলে নেয়নি বেলজিয়াম, অবগত ছিল যুক্তরাষ্ট্রও

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

ব্রাসেলসের বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় জড়িত দুই সহোদরের একজন তুরস্কে আটক হয়েছিলেন। পরে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। তাকে ‘জঙ্গি’ আখ্যায়িত করে তুরস্কের পক্ষ থেকে বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেননি।

এমনটাই দাবি করছে তুরস্কের সরকারি সূত্রগুলো। একই রকম কথা বলছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এ বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার প্রধান শিরোনাম করেছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু পোস্ট।

এছাড়া ওই হামলায় অংশ নেওয়া দুই ভাই সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রও অবগত ছিল। দেশটির সন্ত্রাসবাদের তালিকায় তাদের নাম ছিল। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক এনবিসি টেলিভিশন।

এনবিসি’র প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ব্রাসেলসে আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়া ইব্রাহিম আল বকরাউয়ি ও তার ভাই খালিদ আল বকরাউয়ি ‘সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হুমকি’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের ঠিক কোন তালিকায় ওই দুই ভাইয়ের নাম ছিল, তা সুনির্দিষ্ট করেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দাবি করেন, তার দেশ গতবছরের জুনে ব্রাহিম এল-বাকরাওয়িকে সিরীয় সীমান্তের নিকটবর্তী গাজিয়ানতেপ এলাকা থেকে আটক করে। পরে জুলাইয়ে তাকে নেদারল্যান্ডসে ফেরত পাঠানো হয়।

আঙ্কারায় সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে বেলজিয়াম দূতাবাসকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একজন ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী’র বিষয়ে আমাদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনও সম্পর্ক শনাক্ত করতে পারলো না।

তবে বাকরাওয়িকে কীভাবে নেদারল্যান্ড থেকে বেলজিয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়, সে বিষয়ে এরদোয়ান বিস্তারিত কিছু জানাননি।

তুরেস্কের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগের বিষয়ে বেলজিয়াম এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

 


Spread the love

Leave a Reply