তুষারঝড় মোকাবিলায় সেনা তলব
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃতুষারঝড়ের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে যুক্তরাজ্য। সড়কে বরফে আটকে পড়া গাড়ি ও চালকদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী। কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে। তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে। তুষারঝড় ও প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড অংশে কয়েক বছর ধরে তুষারঝড় তেমন একটা নেই বললেই চলে। কিন্তু গত তিন দিনের তুষারপাতে ইংল্যান্ডের সড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। ঘন বরফে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। কোথাও কোথাও ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে আছে লোকজন। আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে।
গত বুধবার রাত থেকে যুক্তরাজ্যে তুষারপাত শুরু হয়। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণাঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘এমা’র কারণে এমন বিরূপ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তুষারঝড় কমলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কোনো কোনো অঞ্চলে আরও এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
অস্বাভাবিক নিম্ন তাপমাত্রা ও ঘন তুষারে যোগাযোগব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলার বিষয়ে আগাম সতর্কতা ছিল। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা মাইনাস ১৭ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায়। তুষার জমে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।
ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ‘অ্যাঅ্যা’ জানিয়েছে, গত দিনে যুক্তরাজ্যে মোট ৮ হাজার ২৬০টি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের ধারণা, এসব দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি পাউন্ডের বেশি।
স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ড অংশে প্রতিবছরই ব্যাপক তুষারপাত হয়। তবে গত তিন দিনের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তুষার জমে যোগাযোগব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এসব অঞ্চলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে। পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতে শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ট্রেন চলাচলেও আছে চরম বিঘ্নতা। অতিপ্রয়োজন ছাড়া আজও মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ ও আবহাওয়া অফিস।