থেরেসাকে আস্থা ভোটের দিকে ঠেলছেন করবিন

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃযুক্তরাজ্যের বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের উদ্যোগ নিয়েছেন। ১৪ জানুয়ারির আগে ব্রেক্সিট চুক্তিতে আইনপ্রণেতাদের (এমপি) ভোট দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করার পর জেরেমি করবিন এই পদক্ষেপ নেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়াকে ব্রেক্সিট বলে।

হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় গত সপ্তাহ থেকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তি বিষয়ে ভোট বিলম্ব করছেন। লেবার পার্টির নেতা করবিন গতকাল সোমবার বলেন, ব্রেক্সিট বিষয়ে ভোটের জন্য এমপিদের এক মাস অপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে জাতীয় সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

তবে সরকারের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, আস্থা ভোটের জন্য সরকার কোনো সময় বের করবে না। মন্ত্রীরা ছোটখাটো এসব রাজনৈতিক খেলায় অংশ নেবেন না।

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সরাসরি ভোটের আয়োজনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের এ আয়োজন। এ উদ্যোগ যত না সরকারের বিরুদ্ধে, তার চেয়ে বেশি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের বিরুদ্ধে।

১২ ডিসেম্বর আস্থা ভোটে টিকে যান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এতে তিনি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল আছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আস্থা ভোটে উতরে গেলেও মের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে তাঁর নিজ দলের এমপিদের একটি বড় অংশের সমর্থন নেই, তা স্পষ্ট। ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতাদের একটি অংশ মের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করে আস্থা ভোটের দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলটির এমপিরা মের নেতৃত্বের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেন। ঘণ্টা খানেক পর ঘোষিত হয় ফলাফল।

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে যুক্তরাজের মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেন। পরাজয় মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হন মে।


Spread the love

Leave a Reply