দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা কোন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে কিভাবে থাকা সম্ভব ?
ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রেসিডেন্টকে অপসারণের দাবি ঘিরে নানা বিতর্ক। বঙ্গভবন ঘিরে বিশৃঙ্খলা। নানা জায়গায় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। পদত্যাগের আল্টিমেটাম এসেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্টকে অপসারণ বা তার পদত্যাগ এই মুহূর্তে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। এতে নতুন করে দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে আপাতত সাহাবুদ্দিনকেই পদে রেখে সংকট সমাধানের চিন্তা করা হচ্ছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও ভাবতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো চাইছে দেশে যাতে নতুন করে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি না হয়। এ বিষয়ে সরকারকেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে দলটির তরফে। বিএনপি’র সমমনা দলগুলোও এমন চিন্তা করছে। এ অবস্থায় পুরো বিষয় পর্যালোচনা করছে সরকার।
কিন্তু ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম এবং দুবাইয়ে রেসিডেন্সি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া কেরাবিয়ান দেশে তার নাগরিকত্বও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায় একজন দ্বৈত নাগরিক দুর্নীতির দায়ে অভিযোগ উঠা লোক প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারেননা। মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, আবার একই সঙ্গে তার রয়েছে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে বিনিয়োগ এবং দুবাইতে ব্যবসা ও সে দেশের রেসিডেন্সি। এ ছাড়াও তার তৃতীয় একটি দেশের পাসপোর্টে বিনিয়োগ রয়েছে বলেও শোনা যায়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা কোন ব্যক্তি রাষ্ট্র প্রধানের পদে থাকা কিভাবে সম্ভব এমন প্রশ্ন থেকে যায়। বিএনপির মধ্যে কেনো বা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এতো মায়াকান্না! সাধারণত গণঅভ্যুত্থানের পর সংবিধান অকার্যকর হয়ে যায়, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে সরানো কোন সাংবিধানিক বাথা থাকেনা, তাহলে বিএনপি থেকে সাংবাধানিক সংকটের প্রশ্ন আসছে কেনো? গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের জণগনই সংবিধান ,এক্ষেত্রে জনগণ যা চাইবে সেটাই কার্যকর হয় এতাই সাভাবিক।
রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোমে ১৫০,০০০ রিংগিত (টাকায় ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ২৬৩) বিনিয়োগ এবং দুবাইয়ের কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত ও ওয়ারাদ জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি নামের দুবাইতে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের বিনিময়ে রেসিডেন্স ভিসা পাওয়ার প্রমাণস্বরূপ রয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতীত মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে জনাব চুপ্পুর ১৫০,০০০ রিংগিত ও দুবাইর ব্যবসায় বিনিয়োগ কি বৈধ? এবং তিনি যদি আনুগত্য মেনে অর্থের বিনিময়ে তৃতীয় একটি দেশের পাসপোর্টও গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে কি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বহাল থাকা তার পক্ষে সম্ভব হবে? বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে কখনোই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া তিনি ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। এর আগে ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তাকে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক পদেও নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি জানিয়ে আসলেও গতকাল তারা এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। ইস্যুটি এখন অনেকটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় হয়ে উঠেছে। সরকারের তরফেও বলা হয়েছে এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এ ইস্যুতে বিএনপিসহ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হয় এমন কোনো উদ্যোগ চায় না। এ কারণে সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ ইস্যুতে গতকাল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক করেন দলটির নেতারা। বৈঠক শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, দেশে নতুন করে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হোক বিএনপি এমনটা চায় না। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি কোনো সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক সংকট তৈরি করার চেষ্টা করে, তাহলে গণতন্ত্রকামী ও আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি এমন এক সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন যখন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি জোরালো হচ্ছে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছি কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি নেতারা সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
ওদিকে গতকাল দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রেসিডেন্ট পদে শূন্যতা এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টি করবে, সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে- এটা জাতির কাম্য নয়। সালাহ উদ্দিনের এই বক্তব্যকে অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। বিএনপির এই নেতাকে গুম করে ভারতে পাচার করা হয়েছিল, সেখান থেকে দেশে ফিরে তিনি নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। সালাহ উদ্দিন এস আলমেএ গাড়ি ব্যবহার করে বিতর্কিত হয়েছিলেন, পরে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। এখন আবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গিয়ে সাহাবুদ্দিনকে ক্ষমতায় রাখার যুক্তি দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে সাহাবুদ্দিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নিয়োগপ্রাপ্ত। ফ্যাসিস্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন। সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে দুই ধরনের বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন। সাহাবুদ্দিনের আচরণ নিঃসন্দেহে সন্দেহজনক এটা পরিস্কার বুঝা গেলেও বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন তাকে কেনো ক্ষমতায় রাখতে চান এটা প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে সালাহ উদ্দিনের সাথে আওয়ামীলীগের যোগসুত্র রয়েছে। তিনি র এজেন্ডা বাস্তবায়নেও কাজ করতে পারেন যেহেতু ঘুম হওয়ার পর তিনি ভারতেই ছিলেন। তাছাড়া এস আলমের গাড়িটি ব্যবহার করা সন্দেহের জন্ম দেয়। বিএনপির উচিত সালাহউদ্দিনকে নোটিশ করা।
বিএনপির আরেক নেত্রী আইনজীবী রুমি ফারহানা সম্প্রতি সংবিধান অনুযায়ী হাসিনা এখনও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। অতচ সংসদ বিলুপ্তের পর প্রধানমন্ত্রীর পদটি অটোমেটিক শূন্য হয়ে যায় এই কমন জ্ঞানটুকুও তার নেই। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বিএনপি নেতাদের কথাবার্তায় মেচ্যুরিটি আনতে হবে,বেফাশ কথা বার্তা বলে দলের ক্ষতি না করাই ভাল হবে।
গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার পতন ও পালিয়ে যাবার পরে বিএনপির সাথে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক আর আগের মতো নেই।
দুই দলের মধ্যে নির্বাচন ইস্যুতে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুটিতেও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী মনে করে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি যে ‘বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন’ সেটি নিরসনের দায়িত্ব তার নিজের।
“এই ধরণের বক্তব্য দেবার কারণে তিনি এই মহান দায়িত্বে থাকার নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন। এখন এই পদে থাকার আর কোন সুযোগ আর নেই।” বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব থেকে চলে গেলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে না বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী।
“আগে ওনার বিষয়টা পরিষ্কার হওয়া দরকার। ওনার বিষয়টা পরিষ্কার হলে যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে সেভাবেই এই সংকটেরও সমাধান হবে,” বলেন মি.আকন্দ।
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিস্টেমও সংবিধানে নাই। কিন্তু সংবিধানে না থাকা সত্ত্বেও ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স-এর মাধ্যমে সেটি সমাধান হয়েছে। এটা সম্পন্ন হতে পারে। এটা নিয়ে খুব বেশি জটিলতা আমি দেখি না।”
রাষ্ট্রপতির ওপর চাপ প্রয়োগ করে সরিয়ে দেবার বিষয়টিকে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে কী না?
এমন প্রশ্নে মি. আকন্দ বলেন, “ এটা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে নাকি স্বাভাবিকভাবে সেটা উনি ঠিক করবেন। আমরা চাই ওনার বক্তব্যের কারণে যে বিভ্রান্তির তৈরি হয়েছে সেটি তিনি নিরসন করবেন।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, প্রেসিডেন্টের দ্বিমুখী বক্তব্য জাতির সঙ্গে শঠতার শামিল। গণঅভ্যুত্থানে গঠিত নতুন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন।
গতকাল বিকালে পুরানা পল্টনে অবস্থিত আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা মনে করি, প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যের মাধ্যমে যে ধুম্রজাল তৈরি করেছেন তাতে এই পদে থাকার নৈতিকতা তিনি হারিয়েছেন। তার বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নতুন একটা ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে যেহেতু সংসদ নাই সেহেতু এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিতে হবে। এর বাইরে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করলে এবং প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের দাবি করলে সম্ভব হবে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য শোভনীয়ও নয়। আমি মনে করি, অতি উৎসাহী আন্দোলনগুলো বন্ধ হওয়া দরকার এবং সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা প্রক্রিয়া বের করা দরকার।
প্রেসিডেন্টের থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: নাহিদ
মো. সাহাবুদ্দিন প্রেসিডেন্ট থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়- বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। তিনি বলেন, এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ। অন্তর্বর্তী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সে সময় বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু যদি আমাদের মনে হয় এই সেটআপে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটআপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাববো।
রাষ্ট্রপতির বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো উপদেষ্টা পরিষদে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চলছে আলোচনা। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাষ্ট্রপতির থাকা না–থাকার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই বিষয়টাতে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।