নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল : পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলেন মুক্তিযুদ্ধকালে আলবদর বাহিনীর প্রধান ও বর্তমানে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ের আপিল বিভাগের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নিজামীর করা রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের প্রতিবাদে আগামী রোবাবার সারাদেশে সকাল সন্ধা হরতালের ডাক দিয়েছে তার দল জামায়াত ইসলামী।

এর আগে মঙ্গলবার রিভিউ পিটিশনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে দিয়েছিলো আপিল বিভাগ।
১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও উস্কানিদাতাসহ মানবতাবিরোধী তিনটি অপরাধের দায়ে গত ৬ জানুয়ারি নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এর আগে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নিজামীকে চারটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো। ওই বছরের ২৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন নিজামী। আপিল বিভাগ তিনটি অপরাধে নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে।

ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ জানান, নিজামীকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৪টিতে মৃত্যুদন্ড ও ৪টিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে আজ ৩টিতে মৃত্যুদন্ড ও ২টিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ।

তিনটি অভিযোগে দন্ড থেকে থেকে তাকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর মধ্যে একটিতে মৃত্যুদন্ড ও দু’টিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। আপিলের রায় রিভিউর আবেদনও আজ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে যার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল, সেই মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়েও বহাল রইল। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারিক অধ্যায় শেষ হলো। দেরীতে হলেও ন্যায়বিচার পেয়েছেন স্বজন হারানো মানুষ। দন্ড কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার।

এ রায়ের মাধ্যমে দেশের মন্ত্রিপরিষদে দায়িত্ব পালনকারী তৃতীয় কোন মন্ত্রী ’৭১-এ সংগঠিত মানবতাবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ দন্ড পেল। এর আগে সাবেক মন্ত্রী জামায়ায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি’র সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply