নিজ দলের অন্তদ্বন্ধে আইনী চ্যালেঞ্জের মুখে জন বিগসের মনোনয়ন
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ এবার দলীয় অন্তদ্বন্ধে প্রার্থীতা নিয়ে আইনী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন লেবার দলের মেয়র জন বিগস । নিজ দল লেবার পার্টির একটি অংশ গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ব্রিকলেনের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ।তারা জানায় মেয়র জন বিগস লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে মনোনীত হননি । অনিয়মতান্ত্রিকভাবে লেবার পার্টির ইন্টারনাল ব্যালটের মাধ্যমে আবারও মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি মনোনীত হয়েছেন । সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তার মনোনয়নের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা মহামান্য আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছি । তাদের এই আইনী পদক্ষেপের নেপথ্যে একাধিক কারণ তুলে ধরেছেন। তারা নতুন করে প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য পার্টির কাছে দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি লিডার আলা উদ্দিনসহ নিজাম উদ্দিন, আশফাক আহমদ ও জিয়া হক স্বাক্ষরিত লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের ভোট না পাওয়ার ভয়ে কোন নোটিশ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া। ভোটারদের মধ্যে অসত্য তথ্য প্রদান করে তাদেরকে বিশেষ করে জেরেমি করবিনের সমর্থক নতুন সদস্যদেরকে ভোট দানে বিরত রাখা। এফিলিয়েশেন ফিস পরিশোধ না করা সংগঠনের সদস্যদেরকে বেআইনীভাবে ভোট প্রদানের সুযোগ করে অসাধু উপায়ে জন বিগসের পক্ষে সমর্থন আদায়ের অপচেষ্টা করা। মেয়র জন বিগস তার সমর্থকদের পক্ষ থেকে সাধারণ মেম্বারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি কনে ভোট প্রদান থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এসবের প্রমাণসহ বারবার লন্ডন রিজিওনাল লেবার পার্টিও অফিসে এসবের তদন্ত চেয়ে আবেদন করেও নিস্ফল হওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জন বিগস লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদেরও ভোটে মনোনীত হননি, তাই আমরা কিভাবে আশা করব তিনি বারার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। রিজিওনাল লেবার পার্টি থেকে আমরা বারবার লিখেও কোন প্রতিকার পাইনি। তাই, আদালতের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন পথ না থাকায় আদালতে যাচ্ছি। টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টিকে নিরাপদ এবং গণতন্ত্রমুখী করার জন্য এবং অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে মনোনয়ন পাওয়া জন বিগসকে লেবার দলীয় মোনায়ন পাওয়া থেকে অপসারণের জন্যই আমাদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পথে এগিয়ে যাওয়া।
ট্রিগার ব্যালটে সংখাগরিষ্ঠ ভোট জন বিগসের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তিনি মােনায়ন পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন এবং টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার দলের সদস্যগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রার্থী মনোনয়নের দাবী রাখেন।
তারা আশা প্রবকাশ করে বলেন, আমরা আশা করি লেবার পার্টিও এনইসি এ ব্যাপারে অনতিবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন অন্যথায় আমরা লিগাল একশনে যাব।
মনোনয়ন প্রাপ্তির দীর্ঘদিন পরে কেনো তারা আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, তারা দলের কেন্দ্রীয় অফিসে বহুদিন থেকে এ ব্যাপারে অভিযোগ করে এলেও কোন সদুত্তর না পাওয়ায় আইনী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের নভেম্বরে টাওয়ার হ্যামলেটেসর মেয়র প্রার্থী ক্ষমতাসীন মেয়র জন বিগসকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে এ প্রক্রিয়া নিয়ে স্থানীয়ভাবে দলের চাপা অসন্তোষ ছিলো। এখন তা প্রকাশ্যে এলো।
উল্লেখ্য, লেবার পার্টিকে গত ২১ তারিখে ৫ দিনের সময় দিয়ে সলিসিটরের চিঠি দেওয়া হয়েছে।