নিষেধাজ্ঞার জবাবে ফের ‘ক্ষেপণাস্ত্র’ পরীক্ষা উ. কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নতুন করে একদফা নিষেধাজ্ঞা জারি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটি আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম বলছে, স্বল্প পাল্লার ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র দেড়শ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সমুদ্রে পড়ে। যদিও নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্যবস্তুতে এসব হামলা করা হয়নি। স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে এসব পরীক্ষা চালানো হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবা পূর্ব উপকূলে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র বলা হলেও পরে বলা হয়- ক্ষেপণাস্ত্র না হলেও রকেট’ ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া।
সংবাদদাতারা বলছেন, জাতিসংঘ যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তারই পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে এই পরীক্ষা চালানো হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানুয়ারিতে একটি পারমানবিক পরীক্ষা আর ফেব্রুয়ারিতে রকেট পরীক্ষার জের ধরে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
উত্তর কোরিয়া পরমাণুবাহী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদের ওপর পঞ্চম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আগে জাতিসংঘ চার বার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির ওপর। ওইসব নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে পরমাণুবাহী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কারণে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে উত্তর কোরিয়াকে। বিশ্ব নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলায় এবং এই হুমকি যাতে তারা না দিতে পারে সেজন্য আগের চেয়ে কঠোর হয়েছে জাতিসংঘ।
উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞায় যা থাকছে
কোনো দেশ উত্তর কোরিয়ায় কয়লা, লোহা, লোহার আকরিক, সোনা, টাইটেনিয়ান আকরিক, ভ্যানাডিয়াম আকরিক এবং এ ধরনের যেসব ধাতব পদার্থ তারা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করে ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে কাজে, সেসব রপ্তানি করতে পারবে না। এ ছাড়া অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছোট ও হালকা অস্ত্রও কেউ উত্তর কোরিয়ায় রপ্তানি করতে পারবে না। কোনো জাহাজ বা উড়োজাহাজ উত্তর কোরিয়াকে ভাড়া দেওয়া যাবে না এবং এ-সংক্রান্ত চুক্তি করা যাবে না।