ন্যাশনাল এক্সপ্রেস থেকে যে কারনে নামিয়ে দেয়া হল কিশোরীকে…
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের বার্মিংহ্যামের কিশোরী জাহরা সাদিক। গত সপ্তাহে বাসে চড়ে বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাচ্ছিল। ওই সময় তার মুখে ছিল অতিরিক্ত মেকআপ। আর এ দেখে বাসের চালকের সহকারী তাকে বয়স্ক মনে করেন।
চালকের সহকারী মনে করেছিলেন, জাহরা বয়স লুকানোর চেষ্টা করছে। বাস্তবে তার বয়স ১৫-এর বেশি। অথচ সে শিশুদের টিকেট নিয়ে চলাচল করছে।
ওই সময় জাহরা চালকের সহকারীকে নানাভাবে তার বয়সের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় প্রমাণ দেখানো সম্ভব হয়নি। এতে সহকারীও আশ্বস্ত হননি। অগত্যা মাঝপথে নামিয়ে দেন তাকে। আর এর ফলে জাহরাকে পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে হয় চার কিলোমিটার পথ। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে যুক্ত হয় ৩৫ পাউন্ড জরিমানা।
২২ ডিসেম্বর বন্ধুদের নিয়ে বার্মিংহ্যামের ন্যাশনাল এক্সপ্রেসের একটি বাসে চড়েছিলেন জাহরা। ভ্রমণের সময়কার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি ‘ডেইলি মিরর’কে বলেন, ‘বাসে ওঠার পর চালকের সহকারী আমার টিকেট পরীক্ষা করেন। তখন আমি ভুলেও কল্পনা করতে পারিনি এখানে কোনো সমস্যা হবে। তিনি আমার বয়স জানতে চান। আমি বলি। এরপর তিনি আমাকে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন। আমার বয়স মাত্র ১৫। এটি তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না। চালক বলেন, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে না তোমার বয়স মাত্র ১৫।’
জাহরা আরো বলেন, ‘চালকের সহকারী আমার জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট দেখতে চান। আমি দেখাতে পারিনি। কে সব সময় তাঁর সঙ্গে এসব বহন করেন? চালক আমাকে বলেন, ভবিষ্যতে তুমি তোমার পাসপোর্টের একটি ছবি সঙ্গে রাখবে। প্রয়োজনে দেখাতে পারবে।’
জাহরার চাচা নাভিদ সাদিক ন্যাশনাল এক্সপ্রেসের কাছে এ ধরনের আচরণের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। এ বিষয়ে ন্যাশনাল এক্সপ্রেস ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে।