নয় দশক পর কিউবায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
ঐতিহাসিক সফরে কিউবা গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দুই দিনের সফরে রোববার সন্ধায় তিনি কিউবা পৌঁছান। গত ৮৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমেরিকার কোনো প্রেসিডেন্ট কিউবা সফর করলেন।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ওবামা এবং রাউল ক্যাস্ত্রোর মধ্যে চুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন সফরের কথা কল্পনাও করা যেত না। ১৯৫৯ সালে মার্কিন সরকারকে উৎখাত করে ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবী কামউনিস্ট সরকার ক্ষমতা দখল করলে কিউবা ও আমেরিকার মধ্যে শত্রুতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
ওবামাকে কিউবা সরকারের পক্ষ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সফর উপলক্ষে ওবামার ও রাউল ক্যাস্ত্রোর ছবি শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রাস্তার পাশে।
হাভানায় প্রবল বর্ষণ স্বাগত জানায় সফরকারীদের। এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে বেরিয়ে কিউবার মাটিতে পা রাখেন ওবামা। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী মিশেল ওবামা এবং দুই মেয়ে সাশা ও মালিয়াকে দেখা যায়।
হাভানায় ফের চালু হওয়া মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে ওবামা নিজেই তাঁর এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেন। হাভানায় পৌঁছেই ওবামা নিজের একাউন্ট থেকে টুইট করে লিখেছেন: কিউবার মানুষদের সঙ্গে দেখা করে সরাসরি জানার একটা আগ্রহ রয়ে গেছে।
কিন্তু কিউবায় এইদিনেও প্রতিবাদ হিসেবে মিছিল হয়েছে এবং ওবামা আসার মাত্র ঘন্টাখানেক আগেই তা ক্ষান্ত হয়েছে। এই মিছিলে বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিল।
ওবামা তাঁর এই সফরকালে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে রাউলের বড় ভাই সাবেক কিউবান নেতা বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হচ্ছে না।
তবে এই সফরের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ দিনের শত্রুতার চির অবসান ঘটবে তার সম্ভাবনা কম; বড় জোর সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে। কিউবার ওপর এখনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এই সফরে সে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ওবামার আগে আমেরিকার অন্তত ১০ জন প্রেসিডেন্ট কিউবাকে শত্রুদেশ বলে গণ্য করতেন।