পরিসংখ্যানও বলছে এবার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড!
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ সুইডেনকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইনরা কি ১৯৬৬ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছেন? পরিসংখ্যান কিন্তু সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পরিসংখ্যানও বলছে, ববি মুরদের সোনালি ’৬৬ ফিরিয়ে আনার পথেই হাঁটছেন কেইনরা।
ইংল্যান্ডের ঘরে ওই একটাই বিশ্বকাপের ট্রফি। ১৯৬৬ সালের সেই টুর্নামেন্টে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিকেরা। সেই পথে তারা করেছিল ১১ গোল। এবার সেমিফাইনালে ওঠার পথেই ১১ গোল করেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এক টুর্নামেন্টে ন্যূনতম ১০ গোল করল ইংলিশরা। প্রথমবার ’৬৬-তে, তারপর এবার। প্রথমবার তারা ট্রফি জিতেছিল, তাহলে কি এবারও?
ইংলিশ–সমর্থকেরা কিন্তু এবার ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। কেইনদের ম্যাচ থাকলেই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে সুর ওঠে ‘ইটস কামিং হোম’ কোরাসের। এটুকু ইংল্যান্ড ফুটবল দলের জন্য ‘থ্রি লায়নস’ গানের চরণ। ১৯৯৬ ইউরো টুর্নামেন্টে সাউথগেটদের সৌভাগ্য কামনা করে গানটি বেঁধেছিল লাইটনিংস সিডস ব্যান্ড। ২২ বছর পর সেই গানের সার্থকতা প্রমাণের পথে রয়েছেন কেইনরা।
সর্বশেষ ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল গ্যারি লিনেকারদের ইংল্যান্ড। ২৮ বছর পর সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার কাজটুকু সেরেছেন দুই তরুণ হ্যারি ম্যাগুয়ার (২৫ বছর) ও ডেলে আলি (২২ বছর)। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় গোলটি করে আলি কিন্তু উঠে এসেছেন ইংলিশ ইতিহাসে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে মাইকেল ওয়েনের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় (২২ বছর ৮৭ দিন) সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করলেন আলি।
সুইডেনের বিপক্ষে এ ম্যাচে দুটি গোলই এসেছে হেড থেকে। এই বিশ্বকাপে বাকি দলগুলোর চেয়ে ইংল্যান্ড মাথা দিয়েই বেশি গোল করেছে। ১১ গোলের মধ্যে ৫টি গোলই তাঁরা করেছে হেড থেকে। ‘সেটপিস’ অর্থাৎ ‘ডেড বল’ পরিস্থিতি থেকে এসেছে ৮ গোল। যা ইংল্যান্ডের করা মোট গোলের ৮০ শতাংশ। এবং যেকোনো দলের থেকে তারা দুটি গোল বেশি করেছে ‘সেটপিস’ থেকে। ফ্রিকিক কিংবা কর্নারে এই ইংল্যান্ড কতটুকু ভয়ংকর, তা এই পরিসংখ্যান থেকেই পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবে তাদের প্রতিপক্ষ দল।কেইনদের ’৬৬ ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে আরও একটি পরিসংখ্যান। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তারপর এই ৫২ বছরের মধ্যে (এবারের আগে) তাঁরা অন্তত পাঁচবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু শেষ আটের এই মঞ্চে কোনো ম্যাচেই তাঁরা নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারেনি। যে কাজটা হলো এবার। সুইডেনের বিপক্ষে কোনো গোল হজম করেনি ইংলিশ রক্ষণ। ইংলিশদের এ পর্যন্ত ১১ গোল আর শেষ আটে কোনো গোল হজম না করার ইঙ্গিতটা কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন…‘ইটস কামিং হোম’!