পাকিস্তান সুপার লীগে সাকিব-তামিম ঝলক
আরব আমিরাতে শুরু হওয়া পাকিস্তান সুপার লীগের দারুন ঝলক দেখালেন বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। প্রথম দিনে আলাদা দলের হয়ে হাফ সেঞ্চুরীর দেখা পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। অবশ্য সাকিবের দল করাচিতে নাম লেখানো মুশফিকের এদিন জায়গা হয়নি মূল দলে।
শুক্রবার সাকিবের অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপূণ্যে লাহোরের বিপক্ষে ৭ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে করাচি। প্রথমে ব্যাট করে লাহোর ১২৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে করাচি। সেখান থেকে সাকিব আল হাসান লেন্ডাল সিমন্সকে সঙ্গে নিয়ে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন।
আগে বল হাতে ৪ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব। আর ব্যাট হাতে ৩৫ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৫১ রান। তাই আমেরের হ্যাটট্রিক সত্বেও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার জেতেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
দিনের অপর ম্যাচে পেশোয়ার জালমির জার্সিতে তামিম করেছেন ৫১ রান। অবশ্য মন্থর ব্যাটিংয়ের দরুন পিএসএলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি বল খেলে হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন বাংলাদেশের এ তারকা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মত খেলতে নেমে শুরু থেকেই ধীরগতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। প্রথম বলে রানের খাতা খুললেও পরের রানের জন্যে পঞ্চম বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বাহাতি এ ওপেনারকে।
ব্যক্তিগত ইনিংসের ২৬তম বলে দেখা পান প্রথম বাউন্ডারির। আজহার জাইদির বলে এগিয়ে এসে লং অফ দিয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান তামিম। ঠিক তার পরের বলেই লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে স্বরূপে ফিরেন। পরের দুটি বাউন্ডারির জন্যে তামিমকে অপেক্ষা করতে হয় ৪৪ বল পর্যন্ত। শেন ওয়াটসনের পরপর দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। তামিমের ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ২০টি ডট বল। ১ রান নিয়েছেন ২১টি।
অবশ্য ধীর গতিতে ব্যাটিং করলেও তামিমের ৫১ রানের ইনিংসে পেশোয়ার জালমি ১৪৫ রানের পুঁজি পায়। তামিমের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ করে রান করেন শহিদ ইউসুফ ও শহিদ আফ্রিদি।