পার্লামেন্ট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ এমপিদের
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভেতরে আটকে পড়া এমপিদের বের করে আনা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘক্ষণ পার্লামেন্টের সেফরুমে থাকার পর তাদের নিজ সেখান থেকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ব্রিটিশ এমপি অ্যান্ডি স্প্যারোর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাদের ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা বাসায় ফিরছেন।
হামলার পর শুরু হওয়া গোলাগুলির মধ্যেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি সুস্থ ও নিরাপদ আছেন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্ট থেকে নাম্বার টেন-এ নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি এখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন।
হামলার কিছুক্ষণ আগেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ করেন। পার্লামেন্টের বাইরে গোলাগুলি শুরু হলে তাকে দ্রুত একটি গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এরপর পার্লামেন্ট স্কয়ারে জরুরি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। তা ঘিরে রাখে পুলিশ এবং পার্লামেন্ট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হলেও পার্লামেন্টের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন এমপিরা। এছাড়া পথচারী, স্কুলের শিক্ষার্থী ও পার্লামেন্ট ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিখ্যাত লন্ডন আই দেখতে আসা পর্যটকরাও আটকা পড়েছিলেন।
হামলার সময় পার্লামেন্টের ভেতরেই ছিলেন ব্রিটিশ এমপি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক। তবে হামলায় তার কোনও ক্ষতি হয়নি, তিনি নিরাপদ আছেন বলে টুইটারে এক পোস্টে জানিয়েছেন।
বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ জন। এদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। পুলিশের গুলিতে ছুরি হাতে হামলাকারী নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ২০ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে। লন্ডন মেট্রোপলিট্রন পুলিশ ঘটনাকে ‘জঙ্গি হামলা’ আখ্যা দিয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পার্লামেন্ট ভবনে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতের পর গোলাগুলি শুরু হয়। সেখানে গাড়ি দিয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গি ভবনের রেলিংয়ে ধাক্কা দেয়। গাড়ি থেকে বের হয়ে সে একজন পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে।
সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের প্রধান মার্ক রওলি জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালাতে ওঁৎপেতে থাকা এক হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
এছাড়া আরও দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ওয়েস্ট মিনিস্টার গেটের হামলায়। সেখানে পথচারীদের ওপর দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে হামলা করা হয়েছে। এতে দুজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। সূত্র: গার্ডিয়ান।