প্রথম স্বামীর সঙ্গে কী কারনে বিচ্ছেদ হয়েছিল মেগানের ?
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃট্রেভর অ্যাঙ্গেলসন-মেগান মার্কলে- প্রিন্স হ্যারি। এই তিনটি নামের মধ্যে একটা যোগ সূত্র হচ্ছে, ট্রেভর ও প্রিন্স হ্যারি দুজনেই মেগানের স্বামী। তবে একজন সাবেক, আরেকজন বর্তমান। একজন সিনেমার প্রযোজক, আরেকজন রাজপুত্র। দুজনের সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ে করেছেন মেগান। কিন্তু ট্রেভরের সঙ্গে তার সংসার জীবনের চেয়ে প্রেমের সম্পর্কই দীর্ঘ ছিল।
ট্রেভরের সঙ্গে অভিনেত্রী মেগানের ঘনিষ্ঠতার শুরু ২০০৪ সালে; সাত বছর প্রেমের পর ২০১১ সালে তারা ঘর বাঁধেন। কিন্তু বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এর তিন বছর বাদে নিজের থেকে ৩ বছরের ছোট ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ৩৬ বছর বয়সী মেগান; যার পরিণতিতে তারা বিয়ের করেছেন শনিবার (১৯ মে)।
হ্যারি-মেগান জুটি বাঁধার পর একটি টিভি শো তৈরিতে হাত দেন ট্রেভর এঙ্গেলসন। তাতে একটি চরিত্র উপস্থাপন করেন ট্রেভর এঙ্গেলসন, যিনি সন্তানের কর্তৃত্ব পেতে চাইছেন তার ডিভোর্সি স্ত্রীর কাছ থেকে। তার স্ত্রী আমেরিকা থেকে ব্রিটেন যাচ্ছেন এক যুবরাজকে বিয়ে করতে। তবে বাস্তব জীবনে মেগান-এঙ্গেলসনের কোনো সন্তান না থাকলেও এটি এঙ্গেলসনের নিজের জীবনের গল্প বলে সবাই মনে করছেন। তবে এঙ্গেলসন তা অস্বীকার করেছেন। আর এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে সন্তান জন্মদান নিয়ে ট্রেভর-মেগানের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব থেকেই বিচ্ছেদ ঘটে থাকতে পারে।
অপরদিকে মেগানের ঘনিষ্ঠজনেরা বিভিন্ন সময়ে দাবি করেন, ব্যস্ততার কারণে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। যেটা তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানতে বাধ্য করে শেষ পর্যন্ত। মেগানের কাছের এক বন্ধু কিছুটা ব্যাখ্যাও করেছেন এই বিচ্ছেদের, ‘মেগান শুটিংয়ের কাজে টরোন্টো পড়ে থাকত। আর ট্রেভর লস অ্যাঞ্জেলেসে। বিমানে পাঁচ ঘণ্টার লম্বা ভ্রমণ। এভাবে কোনো বিবাহিত জীবন চলতে পারে না।’ সম্পর্কটা এতই তিক্ত হয়ে যায় যে তালাকের পর মেগান নাকি বিয়ের আংটি পর্যন্ত ট্রেভরকে ফেরত পাঠান।
ট্রেভরের প্রযোজিত ছবিগুলোর মধ্যে ‘লাইসেন্স টু ওয়েড’, ‘অল অ্যাবাউট স্টিভ’ উল্লেখযোগ্য। ৯/১১-এর ঘটনার ওপর নির্মিত আলোচিত ছবি ‘রিমেম্বার মি’ ট্রেভরের প্রযোজনাতেই বানানো।