সিলেটে সংবর্ধনাঃ পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে- জ্যোৎস্না ইসলাম
সিলেট অফিসঃ নতুন প্রজন্মের বৃটিশ-বাংলাদেশীদের দেশের প্রতি আকৃষ্ঠ করতে হবে। এজন্য সেখানকার বাঙালি কমিউনিটির পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকেও ভূমিকা রাখতে হবে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সফররত যুক্তরাজ্য রেডব্রিজ কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র, কাউন্সিলর জ্যোৎস্না ইসলাম ও তার স্বামী কাউন্সিলর শামস ইসলামের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিলেটের সুধীজনেরা এমন মন্তব্য করেন। শ্রীহট্ট প্রকাশ-এর উদ্যোগে নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এমাদ উল্যাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন এতে সভাপতিত্ব করেন। দৈনিক সিলেটের ডাক-এর চিফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, মদনমোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, ইসলামী ব্যাংক লালদীঘিরপার শাখার ম্যানেজার নুুরুজ্জামান, লন্ডন প্রবাসী সেবুল আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক আ ফ ম সাঈদ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মঈন উদ্দিন মন্জু। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-শ্রীহট্ট প্রকাশ-এর কর্ণধার জিবলু রহমান।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে রেডব্রিজ কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র এবং গ্রেটার সিলেট ডেভেলপম্যান্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল (জিএসসি) ইন ইউকে’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর জ্যোৎস্না ইসলাম বলেছেন, সিলেট তথা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য খুবই মনোরম। পর্যটকদের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ পর্যটনের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বৃটিশ-বাংলাদেশী নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা দেশে আসার ক্ষেত্রে উৎসাহবোধ করবে। যুক্তরাজ্যে প্রবাসীরা বিভিন্নক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে চলেছেন-এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর পেছনে রয়েছে প্রবাসীদের কঠোর পরিশ্রম। তারা যুক্তরাজ্যে দুই দেশের কালচারকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।কাউন্সিলর শামছ ইসলাম বলেন, অর্থনীতি-শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করে চলেছে। বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই নির্মিত হচ্ছে পদ্মা ব্রীজ। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রবাসীরা বিদেশে বাংলাদেশকে তুলে ধরার কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের সাথে বৃটিশ-বাংলাদেশী নতুন প্রজন্মের যোগসূত্র অনেকটা কমে যাচ্ছে। এ যোগসূত্র নিবিড় করতে দুই কাউন্সিলর ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ই ইউ শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, ইংল্যান্ডের সাথে সিলেটের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দিনে দিনে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-লেখক মোহাম্মদ আবদুল লতিফ, ব্যবসায়ী আহমদ আবদুল ওয়াদুদ, সাংবাদিক ইলিয়াছ আকরাম, কবি তারেক মনোয়ার, লেখক আলহাজ্ব লুৎফুর চৌধুরী, কবি মামুন সুলতান, শোয়াইবুর রহমান, এডভোকেট নূর আহমদ ও ফটো সাংবাদিক এইচ এম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা এ সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য জিএসসি’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুফি সুহেল আহমদ ও কলামিস্ট জিবলু রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।