প্রসঙ্গঃ তারেক রহমান ও আগামী বাংলাদেশ

Spread the love

unnamed।। জাহঙ্গীর আলম মিন্টু ।।
২০ নভেম্বর ১৯৬৫ সালে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এ প্রজন্মের প্রত্যয়ী নেতা, স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশের অহঙ্কার তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন। বিগত ৭ মার্চ ২০০৭ রাতে তারেক রহমানকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের মইনুল হোসেন সড়কের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তখন শাসন ক্ষমতায় মইন উ আহমেদের পুতুল সংবিধানবার্হির্ভূত স্বৈরাচারী ফখরউদ্দীন সরকার। এ অগণতান্ত্রিক সরকারকে যারা ক্ষমতায় এনেছিলেন তাদের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত দূর্বল করে দেশকে মেরুদন্ডহীান ও পরনির্ভরশীল করে রাখা। দেশের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো দূর্বল করে তাদের স্বার্থরক্ষা করা অনেকটা ভুটান ও নেপালের মতো। ১/১১- এর পূর্বাপর আওয়ামী ঘরানার অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতও বুদ্ধিজীবীরা বিভন্ন সভা- সেমিনারে বলতে আরম্ভ করলেন, তারেক রহমান বিএনপির শাসানামলের ২০০১-০৬ পর্যন্ত ৫ বছরে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করছেন। আমাদের জানা ও সরকারের হিসেবমতে, ৫ বছরের সরকার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য উন্নয়নশীল খাতসহ সর্বমোট বাজেট বরাদ্দ করেছে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ নিয়ে মঈন উ আহমেদ ১/১১-এর পর তার এক ভাষণে বলেছিলেন, শুধু বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে দুর্নীতি হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এ মিথ্যা প্রচার গোয়েলসকেও হার মানিয়েছে। সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মিথ্যা তথ্য প্রদান ও অপপ্রচারের জন্য মঈন উ আহমেদ বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন। অথচ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১/১১ সরকারের অসাংবিধানিক ও সব অপকর্মের পক্ষে সমর্থন দিল। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিল না, এতেই ১/১১ সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সখ্য প্রমাণিত হয়
১.পেছনের কিছু বাস্তব চিত্র:
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সরকারকে একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেবে না। তিনি তাই করলেন। বিনা কারণে দিনের পর দিন হরতাল ডাকা, জ্বালাও- পোড়াও রাজনীতি অপ্রয়োজনে দিনের পর দিন সংসদ বয়কট। অসুস্থ রাজনীতির জন্ম দিয়ে সরকারি আমলা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে জনতার মঞ্চ তৈরি করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড নষ্ট করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে লাগাতার ১৮৬ দিন হরতাল, দেশে অর্থনীতি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র, বিদেশি প্রভুদের খুশি করা যেন ওই সময় শেখ হাসিনার মূল কাজ ছিল। এত কিছুর পরও ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া সরকার যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন দেশের অর্থনীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ছিল সন্তোষজনক। দ্রব্যমূল্য ছিল ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। ওই সময় দেশে ছোট-বড় প্রায় ৮০ হাজার শিল্প ও কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অভাবনীয় পর্যায়ে দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থান প্রসারিত হয়। বিদেশী ও প্রশাসনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম সবচেয়ে বেশী ১১৬ টি সিট পেয়ে বিরোধী দলের আসনে বসেন বেগম খালেদা জিয়া।

২. অভিজ্ঞ তারেক রহমান
১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তারেক রহমান ছিলেন মায়ের কাছের একজন তরুন পর্যবেক্ষক। ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কৃষকদের সুদসহ ৫,০০০ টাকা কৃষিঋণ মওকুফ করে, যার পরিমান ছিল ২,৫০০ কোটি টাকা। নারী শিক্ষার উন্নয়ন, মেয়েদের এসএসসি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়া ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও শিল্প প্রতিষ্ঠায় আশাব্যঞ্জক ও ব্যাপক উন্নয়নের পরও ১৯৯৬তে কেন ক্ষমতাচ্যুতি ঘটল, তার উত্তরণে তারেক রহমান জাতীয়বাদী শক্তির পক্ষের রাজনীতিবিদ, আইনবিদ, বরেণ্য সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশায় অভিজ্ঞদের নিয়ে একটি শক্তিশালী পরমর্শক ইউনিট গঠন করলেন। যার অফিস ছিল বনানীর হাওয়া ভবন। এ ভবন বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী কার্যক্রমের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল, যার মূল সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি নিজেই। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে। এ বিজয়ের পেছনে তারেক রহমানের শ্রম ও মেধা যে নিখুঁতভাবে কাজ করেছিল তা কিন্তু ওই সময়ের বিরোধী শিবির আওয়মী লীগ ও তার বিদেশি প্রভুরা ভালোভাবে জ্ঞাত ছিলেন। তারেক রহমানের এ নিখুঁত কাজকে তার বাঁকা চোখে দেখলেন।
৩. তৃনমূলে অনুপ্রেনায় তারেক রহমান
তারেক রহমান ২০০২ সালের ২২ জুন বিএনপির’র তিনি সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিবের দায়িত্ব নেয়ার এক মাসের মধ্যে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা করেন। ওই সময় দলের চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতে তৃণমূলের নেতারা সরকারী কর্মকর্তাদের সমালোচনা ও মন্ত্রী এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উথাপনের সুযোগ পান। তিনি ২০০৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ২৩টি ভেন্যুতে ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা করেন। ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা দেশের সামগ্রিক, রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক, সামাজিক, আইনশৃঙ্খল, দ্রব্যমুল্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, চাকুরি ও কর্মসংস্থানের সার্বিক চিত্র তুলে বক্তব্য দেন। পরবর্তী নির্বাচনে ও দেশ গড়ায় কী কী করণীয় তা পরামর্শ আকারে তুলে দেন। তাদের পরামর্শ সুপারিশ আকারে সরকারের বিবেচনার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে তুলে ধরেন, ‘ এই যেন শহীদ জিয়ার টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এবং রুপসা থেকে পাথারিয়া পর্যন্ত হাজার মাইলের পথ চলা।’ এখানে শহীদ জিয়ার সঙ্গে এক অপূর্ব মিল। তারেক রহমান গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের ফোনে প্রশ্নের উত্তর দিতেন।
৪. বাস্তবসম্মত আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার
তারেক রহমান ২০০৩ সালে যুব দলের প্রতিনিধির সভায় জানতে চাইলেন কী করলে দলের ও সরকারের কার্যক্রমেকে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো যায়। প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার পর তাদের বক্তব্য আহরণ করে তিনি চাঁদপুরের তৎকালীন যুবদলের সভাপতি ও পৌরসভার চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ভূইয়ার প্রস্তাবের সমর্থন সিদ্ধান্ত দিলেন গ্রামের পড়ায় ও শহরে মহল্লায় উঠান সভা করার। যাতে তৃনমূল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন ও মানুষের সমস্য সমাধানে দলের নেতা-কর্মীরা জনগণের সঙ্গে একাকার হয়ে কাজ করতে পারে। দলকে শক্তিশালী করার লক্ষে প্রায়ই তিনি বিএনপি ও তার অংগ- সংগঠনের সাথে থানা, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় করতেন। তিনি নেতাদের বেশী করে বৃক্ষ রোপনের পরামর্শ দেন। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের মাধ্যমে বিনা পয়সায় ৩০ হাজার চারা রোপনের কর্মসূচ উদ্ধোধন করেন এবং সারাদেশে বৃক্ষ রোপনের ব্যপ্তি ঘটনোর জন্য ছাত্রদলকে নির্দেশ দেন।ঐ সময় ২০০৩ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় জেলা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৫০জন সদস্য নিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার ও সেন্টমাটিনের সাংগঠনিক সফরে গিয়েছিলেন। তার মুল উদ্দেশ্য ছিল তাদের মাঝ থেকে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো দেশের জনগণ শহীদ জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বঙ্গোপসাগরে হিজবুল বাহারের রাজনৈতিক সফরের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। তারেক রহমান গ্রামের হতদরিদ্র নিঃস্ব মা বোনদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাংক থেকে সুদে টাকা নিয়ে হাঁস-মুরগি, ছাগল পালনের জন্য উৎসাহিত করেন এবং তিনি সফল হন । তার ঐতিহাসিক শ্লোগান “একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা- এনে দিবে স্বচ্ছলতা। দেশে আসবে স্বনির্ভরতা ”। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গঠন করে বিনা পায়সায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটান। বাংলাদেশকে পৃথিবীর অত্যাধুনিক প্রযু্িক্তবিদ্যার সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়াসে তিনি ইউএসএ আইটি ভিলেজ পরিদর্শন করেন।
৫. তারেক নতুন প্রজন্মে জনপ্রিয়তার শীষে
২০০২ সালে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তারেক রহমান অল্প সময়ে তার কর্ম দক্ষতার মধ্যে দিয়ে দল ও দেশের জনগণের মাঝে তারুন্যের পথিকের আসন দখল করে নিয়েছিলেন। জাতীয়তাবাদী শক্তির ও সমমনা দলের নেতারা তার মাঝে শহীদ জিয়ার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগ, বিরোধী শিবির ও তাদের বিদেশী প্রভুরা এবং আধিপত্যবাদের দালালরা ২০০৩ থেকে তারেক রহমান, হাওয়া ভবন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে ও দুর্নীতির বায়বীয় অপপ্রচার শুরু করলেন।
২০০৬ সালে জানুয়ারী অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তারা পাস করতে পারবে না জেনে নির্বাচনের আগেই ২৮ অক্টোবর ২০০৬ আওয়ামীলীগ অরাজকতার সৃষ্টি করেছিল তার ধারাবাহিকতার ১/১১ সৃষ্টি । ওই সময় জাতি দেখলো,ফখরুদ্দীন ও মঈন উ আহমেদের অগণতান্ত্রিক সরকারকে আর্শীবাদ করল আওয়ামী লীগ ও তার বিদেশি প্রভুরা যার ১/১১ র ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।১/১১ র সরকার প্রথমে আঘাত করল তারণ্যের অহঙ্কার তারেক রহমানের ওপর। তাদের সব ক্ষোভ যেন তার ওপর। গ্রেপ্তারের পর তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা যত রকম নির্যাতন ছিল সব নির্যাতন- নিপীড়নের পৈশাচিক সব কায়দা প্রয়োগ করে তার মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে দিল। তিনি তখন জীবন মৃত্যর সন্ধিক্ষনে ঐসময়ে তার চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য এবং উচ্চ আদালতের মানবিক আদেশ সরকার বাধ্য হয়ে ৩ সেপ্টেম্বব ২০০৮ তাকে মুক্তি দেন। মুক্তির পর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। মহান আল্লাহর রহমতে ও ডাক্তাদের আধুনিক চিকিৎসায় তিনি প্রানে বেঁচে গেলেন। বর্তমানে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন। ষড়যন্ত্রকারীদের ধারনা ছিল তারেক রহমানই একমাত্র তাদের অপকর্মের জবাব দিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উন্নীত করতে পারবে। ষড়যন্ত্রকারী, সুবিধাভোগী ও বর্তমান সরকার এখনও তারেক রহমানের জনপ্রিয়তার ভয়ে আক্রান্ত। জনগণ মনে করেন যারা ১/১১র পর অগণতন্ত্রিকভাবে দেশ চালিয়েছেন, তার ধারাবাহিকতায় তাদের দ্বারা বর্তমান সরকারের জন্ম। তাই ক্ষমতাসীন সরকারের মাঝে তারেকের জনপ্রিয়তার আতঙ্কের অবসান ঘটেনি বরং বাড়ছে ; যার কারণে ১/১১ সময় চাঁদাবাজির মামলা জিয়া আর্ফনেজ মামলা বর্তমান ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, গ্রেনেড হামলা ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলাসহ গুরুতর ১৫টি সহ বর্তমানে সর্বমোট ১৩০টি ষড়যন্ত্রমুলক মামলায়তারেক রহমানকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো এবং তার নক্ষত্র খচিত প্রচ্ছন্ন দেশপ্রেমের ইমেজকে ধ্বংষ করা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বচনে অযোগ্য ঘোষনা ষড়যন্ত্রে মত্ত। এতো কিছুর পর এদেশের জনগনের কাছে তারেক রহমান অধিক প্রিয়। তিনি তরুন প্রজন্মের অহংকার এবং তিনি বর্তমানে জনপ্রিয়তার ও শীর্ষে অবস্থান করছেন।
৬. তারেক রহমানের মুক্তির জন্য প্রবাসীদের আন্টিমেটাম
৪ আগষ্ট ২০০৭ তারেক রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবীতে বহিঃবিশ্বের ৫০ টি দেশে বিএনপি’র একসাথে আন্তর্জাতিক টেলিকনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় আমি (জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু) সৌদি আরবসহ মধ্যে প্রচ্যের টেলিকনফারেন্সের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করি। ২৫ জুলাই ২০০৮ সৌদি আরব, মধ্যেপ্রাচ্যসহ বহিঃ বিশ্বের বিএনপির নেতাকর্মীরা তৎকালীন সরকারকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়রর নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠনোসহ ৬ দফা দাবী জানয়। ৬ দফার অন্যতম দাবী ছিল তারেক রহমানসহ রাজবন্ধীদের মুক্তি না দিলে, প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করে দিবে।tarique

৭. তারেক রহমান পারদশী জয় অক্ষম – দৈনিক দি ইকোনমিষ্ট
‘জয়ের চেয়ে তারেক যোগ্য অভিজ্ঞ’- ইকোনমিষ্ট। গত ১০ আগষ্ট ২০১৩ বিট্রিশ প্রভাবশালী দৈনিক দ্যা ইকোনমিষ্ট লিখেছে, আওয়ামী লীগের ৫টি সিটি কর্পোরেশনের ভরাডুবিতে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে শেষ উপায় হিসাবে আনা হলেও তিনি তেমন সফলতা দেখাতে পারেননি। তার তুলনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান অনেক যোগ্য ও অভিজ্ঞ । পত্রিকাটি তারেক রহমানকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উইলার বা পারদর্শী হিসেবে গণনা করেছেন। সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক্ষেত্রে নন- স্ট্যার্টার বা প্রতিযোগীতায় অক্ষম বলে অভিহিত করেছেন। ইকোনমিস্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে, শেষ উপায় হিসেবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে উপস্থিত করা হয়েছে। যিনি ২০১৩ জুলাইয়ের তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে তাকে তেমন সফল মনে হয়নি।
২০১৩ সালে আগষ্টে বিট্রিশ প্রভাবশালী সাংবাদিক ডেভিড নিকোলস তারেক রহমানকে নিয়ে ঞযব ঢ়ড়ষরঃরপধষ ঞযড়ঁমযঃ ড়ভ ঞধৎরয়ঁব জধযধসধহ বসঢ়ড়বিৎসবহঃ ড়ভ ঃযব এৎধংংৎড়ড়ঃং ঢ়বড়ঢ়ষবং বইটি বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম ক্যামরিজ উইনিভারসিটি অব ক্যামরিজ যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত। তার এক লেখায় তিনি লিখেছেন “ দেশের ১৬ কেটি মানুষের স্বপ্ন পূরনে কাজ করে যাচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি দেশে প্রতিষ্ঠা করতে চান পূনাঙ্গ গনতন্ত্র ও আইনের শাসন।
৮. কষ্ঠি পাথরে পরীক্ষিত তারেক রহমান
তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন “ কারো সঙ্গে বিবেধ নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব।।” ২৪ জুলাই’১৩ লন্ডনে এক ইফতার অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশেকে সামনে এগিয়ে নিতে অতীত রেখে ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহব্বান জানান দেশের ভিতরে ও বহিঃবিশ্বে কারে সঙ্গে বিবাদ নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। তারেক রহমানের তুলনা কারো সাথে চলে না। তার পিতা স্বাধীনতার ঘোষক ও সফল রাষ্ট্রপতি এবং তার মাতা তিন বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী । তার নিজ গুনে কষ্টি পাথরে পরিক্ষিত এক অংহকারের নাম তারেক রহমান।
ফুটনোট
ক) ষড়যন্ত্রের সব শিকল ভেঙে , তারেক আসবেন বাংলাদেশে বীরের বেশে। কারণ তারেক রহমান ১৯৮৮ দিকে বৈধ পথে ব্যাংকের ঋন নিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিপইয়ার্ডে যাত্রীবাহী লঞ্চ নির্মাণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি তিলে তিলে “ রহমান নেভিগেশন’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। তারেক বাংলাদেশের মাটিতে ব্যবসা করে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও দেশের রাজস্ব উন্নতিতে সহায়তা করেন। অন্য রাজনীতিবিদদের সন্তানদের মতো দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে নতুন নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে রাতারতির উদীয়মান ব্যবসায়ী খেতাব নেননি।
খ) তারেক রহমান এদেশের মাটি ও জলবায়ুরতে বড় হয়ে পরিণত বয়সে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে মেয়ে ডাক্তার জোবায়দাকে বিয়ে করেছেন। যিনি দেশে স্বাস্থ্যসেবায় চাকরি করেছিলেন। অন্যদের মতো বিদেশি বা ইহুদি মেয়ে বিয়ে করেননি; যারা বিদেশে বসবাস করে টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা দেশের জন্য কিছুই করছেন না।
গ)তিনি ও তার পরিবার বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে গর্বিত । অন্যদের মতো বিদেশি নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট নিয়ে খুশিতে টগবগে হন না।
ঘ) তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থাায় কোন মন্ত্রণালয়েই কেউ দুর্নীতির সুনিদিষ্ট প্রমান দিতে পারেননি। অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বিদেশি কোম্পনি থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগের সংবাদ আমার দেশ প্রতিকায় ১৭ অক্টোবর ২০০৯ এ প্রাকশিত হয়েছিল। যা নিয়ে শাসকদল ও জয় একেবারে নিশ্চুপ।
ঙ) তারেক রহমান শেয়ার মাকেটের দুর্নীতির সঙ্গে বিএনপির দুই দফা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জড়িত ছিলেন না এবং বিএনপি আমলে শেয়ার মার্কেটে কখনও দুর্নীতি হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ থেকে ৩বার ক্ষমতায় এসেই শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বড় ধরনের দূর্নীতি করে মানুষকে নিঃস্ব করেছে। দেশের জনগণ আকারে ইঙ্গিতে বলাবলি করেন শেয়ার মার্কেট কিছু লোকের দুর্নীতি ও লুটপাট ৯৬ হাজার কোটি টাকা বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রী নিকটতম শীর্ষ দু’ব্যক্তির কাছে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকউন্টে জমা হচ্ছে বলে জোর গুঞ্জন আছে। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ খাত হতে ৪৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও ভিওআইপি ফোন কল হতে ৫০ হাজার কোটি টাকাসহ পদ্মাসেতু ১৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি দেশে ও সারা বিশ্বের বাংলাদেশের সম্মান ভুলন্ঠিত করেছে শেখ হাসিনার আবুলরা। ব্যাংক সেক্টর থেকে ১ লক্ষ হাজার কোটি টাকা লুটপাটে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মোদ্দাছেরসহ সরকারের ক্ষমতাসীনরা জড়িত। এ সররকার ভিক্ষুকের ১০ কোটি টাকা খেয়ে ফেলেছে। ১ ডজনের উপর মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা সরাসরি পুকুর চুরির সাথে জড়িত। শুঁটকির বাজারে বিড়াল চৌকিদারদের সঙ্গে তাদের গভীর সখ্যের খবর দেশের সবাই জানে। গত ৬ বছরে সাড়ে ৬ লক্ষ হাজারকোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে। দেশ এখন দূর্নীতি সাগরে ভাসছে।
চ) ক্ষমাতাসীন সরকার দূর্নীতি, সন্ত্রাস, মানুষ গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের কন্ঠরোধে ব্যস্ত। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, দখল, টেন্ডারবাজীতে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছ্ েবিদ্যু’ সমস্যা সমাধানে শতভাগ ব্যর্থ, দ্রব্য মূল্যের উদ্ধগতিসহ নাগরিকদের হাজারে সমস্যা সমাধানের ব্যার্থতার দায় আড়াল করার জন্যে এবং জনগনের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৩০ টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে নিঃশেষ করার হীনপরিকল্পনায় সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে।
ছ) তিনি দীর্ঘ প্রবাস জীবনে রাজনীতি সমাজনীতির উপর পড়াশুনা ও বুঝবার অনেক সুযোগ পেয়েছেন, যা আগামীদিনের রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং দেশের জনগনের উপকারে আসবে। যেদিন তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসাবেন সেদিন দেশের জনগন ফুলদিয়ে রাজপথে তৈরী করে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাবে। আজ তাকে নিয়ে কবিরা কবিতা লিখছেন,শিল্পীরা গাইছে গান। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির লিখেছে “তোমার চোখে এদেশের স্বপ্ন। তোমার জীবন মানুষের জন্যে। তুমি এলে হবে নব্বান্ন। প্রতিক্ষার হবে শেষ, তোমাকে চায় বাংলাদেশ।”
পরিশেষে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সরকারদলীয় নেতারা বিরোধী দলের বিচারাধীন মামলায় রায় আগেই ঘোষনা করে এবং তাদের ইচ্ছামত কোর্টের রায় হয়, সেখান সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মমলা সাজা দেব না তা ভাবার কোন কারন নেই। ১/১১ এর এবং বর্তমান সরকার এত দিন বলে এসেছে,তিনি বিদেশে ২৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন, শুধু মালয়েশিয়ায় তার বারো হাজার কোটি টাকা অবৈধ ব্যবসা আছে। জাতি স্পষ্টভাবেই দেখেছেন, সরকার কোথাও তারেক রহমানের এক টাকার দূর্নীতি না পেয়ে তার চিকিৎসার ও বিমান খরচের বর্তমান বাজারের মুল্য ৪৫ লাখ টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলা রুজু করছে। দেশের সবাই জানে, তারেক জিয়া মামুনের একসময়ের ব্যবসায়িক পার্টনার ও বন্ধু। তাই জাতি এয়ো মনে করেন সে সুবাদে বিদেশে চিকিৎসা ও ভ্রমনের জন্য তার কাছ থেকে সামন্য ৫০ হাজার ডলার যদি নিয়েও থাকে তাতে কি অন্যায় করছে ? দেশের মানুষ তা জানতে চায় । তাহলে বিদেশে যারা চিকিৎসা করছে, এ সরকার তাদের সবার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিয়ের কোনো মামলা করছে কি? সরকার বিদেশ থেকে ভাড়া করে সাক্ষী এনেছে তারে রহমাকে পরিকল্পিতভাবে শান্তি প্রদানের জন্য । অথচ যুদ্ধপরাধী আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের নামে যে প্রহসন চলছে তার নিরপেক্ষ বিচারের জন্য বিদেশ থেকে আইনজীবী আনতে বাধা দিচ্ছে সরকার। এতে সরকারের নগ্ন চরিত্রের বহিঃ প্রকাশ ঘটেছে, যেন এক বৃক্ষে দুই জাতের ফল। ১৭ নভেম্বর ২০১৩ আদালত কর্তৃক রায়ে অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমান নির্দোষ প্রামানিত হয়ে বেকসুর খালাস পায়। অবৈধ সরকারের তলবিবাহক দুদুক ২০১৪ সালে হাইকোটে আপিল করে। গত ২১ জুলাই’১৭ মানি লন্ডারির ষড়যন্ত্রমূলক শতভাগ মিথ্যা মামলায় উচ্চ আদালতে তারেক রহমানকে ৭ বছর জেল ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। ১২ জুলাই’১৭ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় দেশ-বিদেশের মানুষ দেখেছেন,বিচারিক আদালতের জজ মোতাহার হোসেন বলেছেন,“ প্রভাহিত হয়ে রায় ইে নাই। মামলার কোথাও তদন্ত কর্মকর্তা বলেনিযে, আসামী তারেক রহমান বাদী খাদিজা ইসলামের কাছে অর্থ দাবী করেছেন, বাদী কোথাও বলেননি তারেক রহমানকে টাকা দিয়েছেন। আমার বিবেচনায় আমি তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছি”।জনগন জানে মানুষ উপরের কোর্টে যায় সাজা কমানো বা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্যে আমরা দেখলাম উল্টোটা। জনগন মনে করে বিচারক এনায়েত রহিম একসময় বাকশাল ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এখানে ন্যায় বিচার আশা করা যায়না।তারেক রহমান ২০০৪ ও ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ প্রমান করার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিশ করেছেন, কিন্ত অধ্যাবদি তার উত্তর দেওয়া হয় নাই। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি টাকার দূর্নীতি ১/১১ এবং বর্তমান সরকার প্রমান করতে পারেন নাই। সবাইকে মনে রাখতে হবে,“ বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা? আজ জেগেছে সেই জনতা।”।সত্যের জয় আর মিথ্যার পরাজয় একদিন প্রকাশ পাবে। যারা অধিপত্যবাদের শক্তি ও রক্তচক্ষু দিয়ে এ দেশকে মেরুন্ডদহীন ও পরাধীন রাখতে চায় , তারাই তারেক রহমানের মতো তারুন্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র দেশপ্রেমিক নেতা রাজনীতিকে কলুষিত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জনগন মনে করেন ,১/১১ এর ফসল ব্যর্থ দুনীতিবাজ সরকারকে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে, এর বিকল্প নেই। এই মূহুর্তে দেশের মানুষ চায় জনগণের স্বপ্ন পূরনে তারেক রহমানকে কারন তিনি, দেশপ্রেমিক সাচ্ছা একজন তারকাখচিত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব। যার কথা বিশ্বাস করে সর্বস্তরের জনগন এগিয়ে আসবে দেশের উন্নয়নে। স্বাধীনতা ও সাবভৌমত্ব রক্ষায় যিনি হবেন দৃঢ়। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বনা পয়সায় ট্রানজিট, ট্রান্সশিমেন্ট করিডোর ও দেশের ভূখন্ড ভারতকে গোপনে দিয়ে দেব না এবং দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখে গোলামি চু্িক্ত করবে না। দেশের জন্য ক্ষতিকারক ভারতে টিপাইমুখ বাঁধ যে ব্যাক্তি রুখতে পারবেন এবং বাংলাদেশকে নিয়ে যাবেন আধুনিক বিশ্বের কাতারে। আর সেই ব্যক্তি হলেন আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য ছেলে বাংলাদেশের অহঙ্কার তারেক রহমান।
লেখক: কলাম লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী
সরহঃঁনধষংযরফ৬৬@মসধরষ.পড়স


Spread the love

Leave a Reply