ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরে অভিবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরে অভিবাসীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ক্যালে বন্দরে ‘দ্য জাঙ্গল’ নামে পরিচিত অভিবাসীদের অস্থায়ী শিবির পুলিশ ভাঙতে গেলে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
অভিবাসীরা ব্রিটেনে যাবার চেষ্টায় ওই শিবিরে তাবু গেড়ে অবস্থান করছিল।
ওই শিবিরের বাইরে এখন তুলনামূলক শান্তু অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা।
ক্যালেতে অবস্থানরত এই অভিবাসীরা ব্রিটেনে পৌছানোর চেষ্টায় দীর্ঘদিন যাবত সেখানে তাবু গেড়ে অবস্থান করছিল। অভিবাসীদের এই শিবিরগুলো ‘দ্য জাঙ্গল’ নামে পরিচিত।
কর্তৃপক্ষ এই শিবিরগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করলে, যেসব গাড়ি সেদিকে যাচ্ছিল অভিবাসীরা সেসব গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারতে শুরু করে। জবাবে ফরাসী দাঙ্গা পুলিশও তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তৈরি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।
অভিবাসীদের অন্তত ১২টি অস্থায়ী ঘরে আগুনও দেয়া হয়েছে।
ফরাসী কর্তৃপক্ষ চাইছে, অভিবাসীদের সেখান থেকে সরিয়ে কিছু অভিবাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে।
তবে শরণার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রধান লেনার্দ ডয়েল বলছেন “জাতিসংঘের চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা রয়েছে, মানবিক দায়বদ্ধতাও রয়েছে।অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের ভুললে আমাদের চলবেনা। তারা শরণার্থী হতে পারে কিন্তু তারা না পারতেই আরেকটি দেশের আশ্রয়প্রার্থী”।
“আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক থেকে আসা এসব শরণার্থীদের দেখাশোনা করা আমাদের কর্তব্য, তাদের ওপর জলকামান ছোড়ার বদলে তাদের সাহায্য করা উচিত”- বলেন মি: ডয়েল।
শরণার্থীদের সাথে বিরূপ আচরণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলবে বলে উল্লেখ করেন অভিবাসন সংস্থার প্রধান।
ক্যালে বন্দরের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় অনেক শরণার্থীই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই শরণার্থীদের তারা ভিন্ন একটি স্থানে কিছু রূপান্তরিত শিপিং কন্টেইনারে থাকার ব্যবস্থা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশ শরণার্থীই এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
তারা মনে করছে এমনটা করলে তাদের ব্রিটেনে যাবার আশা ফুরিয়ে যাবে এবং ফ্রান্সেই তাদের আশ্রয় চাইতে হবে।