ফ্রান্সে বিক্ষোভ, চাপে সরকার
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃফ্রান্সে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ব্যাপক গণবিক্ষোভে চাপের মুখে পড়েছে সরকার। ক্ষুব্ধ লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
ফ্রান্সে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। তীব্র নাগরিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদে ট্যাক্সিচালকদের ব্যবহৃত ‘ইয়েলো ভেস্ট’ পরে রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। এই আন্দোলন ‘ইয়েলো ভেস্ট’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপের আজ মঙ্গলবার বৈঠকে বসার কথা ছিল। তবে বৈঠক থেকে সরে এসেছেন বিক্ষোভকারীরা। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ গ্রুপের কয়েকজন সদস্য জানান, সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় না যাওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে মৃত্যুহুমকি পেয়েছেন তাঁরা। তাই আর আলোচনা হচ্ছে না।
গত রোববার ভয়াবহ দাঙ্গায় অচল হয়ে পড়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। গত এক দশকের মধ্যে এমন দাঙ্গা দেখেনি ফ্রান্স। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আহত হয় প্রায় দেড় শজন। চার শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ অংশ নেন।
গত ১৭ নভেম্বর শুরু হয় এই বিপ্লব। আন্দোলনকারীরা ফ্রান্সজুড়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ তাঁর মেয়াদের প্রথম ১৮ মাসের মধ্যেই অন্যতম সবচেয়ে বড় ও ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন। এর মধ্যে মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদনকারীরা বলছেন, বিক্রি কমেছে প্রায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্ট জরুরি নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন। তবে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। এর আগে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ায় এমানুয়েল মাখোঁ সার্বিয়া সফর বাতিল করেছেন। গতকাল বিরোধী দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ।