ফ্রান্সে বিধ্বস্ত জার্মানির যাত্রীবাহী বিমান ; সব আরোহীর ‘মৃত্যু’র আশঙ্কা

Spread the love

26F1BDEE00000578-3009151-This_Germanwings_Airbus_A320_like_the_one_above_has_crashed_in_t-m-38_1427195935296বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ
জার্মানির একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ আজ মঙ্গলবার ফ্রান্সের আল্পস পর্বতের দুর্গম এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় উড়োজাহাজটির ১৫০ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। ২০০০ সালের পর ফ্রান্সে এটাই প্রথম বিমান দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনায় জার্মানির একটি স্কুলের ১৬ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
1এএফপি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জার্মানউইংসের এ-৩২০ মডেলের উড়োজাহাজটি স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরে যাচ্ছিল। জার্মানউইংস কম খরচে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। জার্মানির বিমান সংস্থা লুফথানসার সহযোগী একটি সংস্থা হল জার্মানউইংস।
5ফ্রান্সের বিমান কর্তৃপক্ষ ও জার্মানউইংসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানটিতে ১৪৪ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিলেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় পৌনে ১১টার দিকে বিপৎসংকেত পাঠানোর সময় উড়োজাহাজটি ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বার্সালোনেত্তি এলাকায় ছিল। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ বার্সালোনেত্তি এলাকায় পাওয়া গেছে।
ফ্রান্সের মাটিতে ২০০০ সালের পর এটাই প্রথম বিমান দুর্ঘটনা। ওই বছরের জুলাই মাসে রাজধানী প্যারিসের বাইরে এয়ার ফ্রান্স কনকর্ড বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে ১১৩ জনের প্রাণহানি ঘটে, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন জার্মান নাগরিক।
‘বিয়োগান্ত’ বলে মন্তব্য ওঁলাদের
4ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ এই ঘটনাকে ‘বিয়োগান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার ধরন দেখে মনে হচ্ছে বিমানের কেউ বেঁচে নেই। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় সেখানে উদ্ধারকর্মীদের যেতে বেগ পেতে হচ্ছে।’
জার্মানউইংস এক বিবৃতিতে বলেছে কী কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা তারা এখনই বলতে পারছে না। তবে কারণ অনুসন্ধানে তারা সবকিছু করবে।
১৬ স্কুলছাত্রের মৃত্যু
7জার্মানির হেলটন এম সি শহরের জোসেফ কোয়েলিং স্কুলের ১৬ ছাত্র ওই উড়োজাহাজে স্পেন থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে। শহরের মেয়র বডো ক্লিমপেল এএফপিকে বলেন, এ দুর্ঘটনার খবরে শহরের সবাই গভীর শোকাহত। ১৬ ছাত্রের সঙ্গে তাদের দুজন শিক্ষকও ছিলেন।
ম্যার্কেল শোকাহত
2উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর শুনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ‘শোকাহত’ হয়েছেন। তাঁর একজন মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট জানান, চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের স্বার্থে ম্যার্কেল তাঁর অন্যান্য কাজ বাতিল করেছেন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর শোক
8স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, স্পেন থেকে ছেড়ে যাওয়া উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবরে তিনি শোকাহত হয়ে পড়েছেন। বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আল্পস এলাকায় বিমান দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত। এটা একটা ট্র্যাজেডি। আমরা ঘটনার তদন্তের জন্য ফরাসি ও জার্মান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।’63


Spread the love

Leave a Reply