বঙ্গোাপসাগরে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩ ইউক্রেনীয়র মৃত্যু

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে একটি বেসরকারি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কক্সবাজারে নাজিরাটেক এলাকায় এ দূর্ঘটনায় বিমানটির দুই পাইলট ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন অপর আরোহী বিমানটির নেভিগেটর। নিহতদের সকলেই ইউক্রেনের নাগরিক।

বিমানটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রু অ্যাভিয়েশনের পরিচালক গিয়াসউদ্দিন জানান, ভাড়ায় চালিত এসব কার্গো বিমান ইউক্রেন থেকে আনা হয়। দুর্ঘটনার পর প্রথমে বিমানটির ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার গুফারেড (৪০) ও ফ্লাইট নেভিগেটর প্যাট্রোবিবানকে উদ্ধার করা হয়। এরপর পাইলট মুরাদ ও কো-পাইলট পেট্রট ইভানের লাশ উদ্ধার হয়।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সকাল ৯টা ৫ মিনিটে চিংড়ির পোনা নিয়ে বেসরকারি কার্গো বিমানটি কক্সবাজার থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে এবং যশোরযাত্রা বাতিল করে কক্সবাজারে অবতরণ করবে বলে রেডিও বার্তা পাঠায়।

কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে কক্সবাজার টাওয়ারের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে জানা যায়, বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বিমানটি নাজিরহাট ও সোনাদিয়া দ্বীপের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এরপর স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় সেখান থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সদর হাসপাতালের সুপার ডা. রতন চৌধুরী জানান, হাসপাতালের আনার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় এক ক্রুর। আরেকজনও মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ডের নৌযান উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে উদ্ধারকাজে অংশ নেন নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা।

কয়েকঘন্টা চেষ্টার পর নিখোঁজ পাইলট ও কো-পাইলটের লাশ পাওয়া যায়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সোনাদিয়া এলাকায় সাগরের নিচে আন্তনভ-২৬ মডেলের কার্গো বিমানটির ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁদের লাশ তোলেন উদ্ধারকর্মীরা।

বিমান দূর্ঘটনার কারন এখনো জানা যায়নি। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।


Spread the love

Leave a Reply