বরিস জনসনকে ব্রেক্সিট পার্টির হুমকি

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা খসড়া চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ। চুক্তি বাতিল না করলে ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রতি আসনে প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ব্রেক্সিট পার্টি। শুক্রবার (১ নভেম্বর) লন্ডনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় নাইজেল ফারাজ এই হুমকি দেন।

দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। পরে ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, কনজারভেটিভ পার্টির মতো করে নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে সরব। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন  সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেরেমি করবিনের লেবার পার্টিকে হারাতে সমমনা কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে সমঝোতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করবে ব্রেক্সিট পার্টি। শোনা যাচ্ছে, কনজারভেটিভ পার্টির জয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনও আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দলটি। তবে এজন্য তারা জনসনের প্রস্তাবিত চুক্তি বাতিল চায়।

লন্ডনে সাংবাদিকদের ফারাজ বলেন, ‘সরকার (প্রস্তাবে) একমত না হলে এই নির্বাচনে ব্রেক্সিট পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে, যারা শুধু ব্রেক্সিট পার্টিকে প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা ইংল্যান্ড, স্টকল্যান্ড ও ওয়ালসের প্রতিটি আসনে প্রতিযোগিতা করবো। সন্দেহ নেই নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত।’ তিনি বরিস জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটা ব্রেক্সিট নয়, এটা বাতিল করুন।’

ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল করে কানাডার সঙ্গে ইউরোপের যেমন চুক্তি আছে এমন অনুরূপ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পরামর্শ দিয়েছেন ফারাজ। ওই বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ ২০২০ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারণ করতে বলেন তিনি। বলেন, এই চুক্তি ইইউ না মানলে যুক্তরাজ্যের চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মে ব্যবসায়িক নীতির দিকে এগোনো উচিত। নাইজেল আরও বলেন, ‘আমি ওটাকে (বাণিজ্য চুক্তি) সম্পূর্ণরূপে যুক্তিযুক্ত হিসেবে দেখবো। তাহলে ওটা ব্রেক্সিট হবে।’