বরিস জনসনকে সমর্থন ট্রাম্পের
বাংলা সাংলাপ ডেস্কঃবৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টিতে শুরু হয়েছে নেতৃত্বের লড়াই। এরই মধ্যে দলীয় প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেমে পড়েছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনকে খুব পছন্দ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি বরিসকে কনজার্ভেটিভ পার্টির ‘এক্সিলেন্ট’ নেতা হতে পারেন বলে মূল্যায়ন করেছেন। সহসাই বৃটেন সফরে আসছেন ট্রাম্প। তার এ সফরকে সামনে রেখে একটি সাক্ষাতকার নেয় লন্ডনের দ্য সান। এতে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি এ পদে (কনজার্ভেটিভ দলের নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রিত্ব) বরিস খুব ভাল কাজ করতে পারবেন। ট্রাম্প আরো বলেছেন, এ পদের অন্য প্রার্থীরা তার অনুমোদন বা সমর্থন চেয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, আমি যেকাউকে সাহায্য করতে পারি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে আরো বলা হয়েছে, কনজার্ভেটিভ দল থেকে নেতৃত্বের লড়াইয়ে সর্বশেষ নাম লিখিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনি বলেছেন, কোনো চুক্তি ছাড়াই তিনি বৃটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনতে প্রস্তুত। তার এ ঘোষণা দেয়ার পর পরই ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেছেন। ওদিকে অনলাইন ডেইলি মেইলে এক নিবন্ধে সাজিদ জাভিদ লিখেছেন, আরেকটি গণভোট তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন।
ওদিকে ট্রাম্পের বৃটেন সফরকে কেন্দ্র করে মাল্টি মিলিয়ন পাউন্ডের নিরাপত্তা অপারেশন সাজানো হচ্ছে। এ সফরকে সামনে রেখে ট্রাম্প বলেছেন, কনজার্ভেটিভ দলের নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নিবিড় মনোযোগ দিয়েছেন। এই দলের প্রধানই হবেন বৃটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ট্রাম্প বলেন, আমি এ বিষয় নিয়ে খুব কঠিনভাবে পর্যালোচনা করেছি। ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীকে আমি জানি। তবে আমার মনে হয় বরিস এ পদে খুব ভাল কাজ করতে পারবেন। আমি মনে করি তিনি এক্সিলেন্ট হবেন। আমি তাকে পছন্দ করি। সব সময়ই আমি তাকে পছন্দ করি। জানি না তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকবেন কিনা। তবে তিনি খুব চমৎকার মানুষ। অত্যন্ত মেধাবী মানুষ।
ট্রাম্প এ সময় অন্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করলেন না। তিনি তাদেরকে ‘আদার পিপল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, অনুমোদন দিতে তাকে অনুরোধ করেছেন ‘আদার পিপল’। যদি আমি তাদেরকে অনুমোদন দিই তাহলে যেকাউকে সহায়তা করতে পারি।
এ ছাড়া ফেভারিট হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে দেখছেন ট্রাম্প। তার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, হ্যাঁ আমি তাকে পছন্দ করি। তবে পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গভের বিষয়ে আপত্তি আছে ট্রাম্পের। কারণ, দৃশ্যত তিনি ইরান ইস্যুতে সমালোচনাকারী।