বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানের ১৫তম আসর
মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান :
লন্ডনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ১৫তম আসরের ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র প্রকাশনা ও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।
ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির সাফল্যগাঁথা ও অগ্রযাত্রার চিত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের হুজহু প্রকাশনায় ফুটে উঠে। দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে এই প্রকাশনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে ব্রিটেনের মূলধারায় সেতুবন্ধন তৈরী করতে এবং পেয়েছে সফলতাও। এই প্রকাশনা তরুণ প্রজন্মদের মাঝে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা সঞ্চার করবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর ২০১৪) লন্ডনের অভিজাত ভেন্যু মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড হলে ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু’র প্রকাশনা ও এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের ১৫তম আসরের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ব্র্যাকনেল কনজাভেটিভ পার্টির সাবেক এমপি কর্ণেল জেমস সান্ডার্লেন্ড।
জেমস সান্ডার্লেন্ড বলেন, নিজ নিজ পেশায় অসাধারণ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে চলছেন, এমন আটজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশিকে এওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু।
এর আগে এবারের প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন কর্ণেল জেমস সান্ডার্লেন্ড, চ্যানেল এস’র প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস জলিল, হুজহু’র প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল করিম গণি, পার্ল এডভারটাইজিংয়ের ডাইরেক্টর আহাদ আহমেদ ও হুজহু’র নির্বাহী সম্পাদক সোহানা আহমেদ।
বাংলা মিরর গ্রুপের এই প্রকাশনায় এবার সংযুক্ত হয়েছে ২৭৩ জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশীর সাফল্যগাঁথার কথা। এবারের প্রকাশনায় সংযুক্ত হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভার অবদানের কথা।
নতুনত্ব সমৃদ্ধ করেছে এ প্রকাশনাকে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশী তৃতীয় প্রজন্মকে যুক্ত করে হুজহু কলেবরে বৃদ্ধি পেয়েছে, আঙ্গিকেও শোভিত হয়েছে নতুনদের অবদানে।
এবারের এওয়ার্ডপ্রাপ্তরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, হুজহু’র এওয়ার্ডপ্রাপ্তি সত্যিই সম্মানের ও গর্বের। এটি আমাদের কাজের স্বীকৃতি। যাত্রালগ্ন থেকে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু কমিউনিটির গুণিজনদের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা লিপিবদ্ধ করে তাদের স্মরণীয় করে রাখছে – যা আগামী প্রজন্ম আমাদের সম্পর্কে জানতে পারবে।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু এর প্রধান সম্পাদক আব্দুল করিম গণি বলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবীণ ও নবীনরা ব্রিটিশ কমিউনিটিতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। আমাদের এই প্রকাশনা থেকে সহজেই কমিউনিটির অবদানের বিষয়টি জানতে পারে সবাই।
মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড ও ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সহযোগিতায় আয়োজিত এবারের আসরের সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ব্যারিস্টার নাদিয়া আলি ও ব্যারিস্টার আনোয়ার মিয়া।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশনার নির্বাহী সম্পাদক সোহানা আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ মূলধারা ও কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ।
এবারের এওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জালাল রাজন উদ্দিন (রাজনীতি ও সমাজসেবা), আব্দুল হক (প্রযুক্তি ও মিডিয়া), সাব্বির জামি (ব্যবসা ও সমাজসেবা), ইয়াসমিন হারুন বিইএম (স্পোর্টস ও চ্যারিটি), আলাউর রহমান (সঙ্গীত), আশিকুর রহমান (ট্যুরিজম), করিম মিয়া শামীম ( ক্যাটারিং ও প্রপার্টি) ও শামস উদ্দিন খান (শিক্ষা)।
জমকালো এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হ্যারো কাউন্সিলের মেয়র সেলিম চৌধুরী, টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পীকার সাইফ উদ্দিন খালেদ, নিউহ্যামের মেয়র রহিমা রহমান, ক্যামডেনের মেয়র সমতা খাতুন, লয়েস্টটফ্ট টাউন কাউন্সিলের মেয়র নাসিমা বেগম, বারকিং এন্ড ডেগেনহ্যামের মেয়র মইন কাদেরী, বার্ণলীর মেয়র শাহ হোসেন, স্টেপলফোর্ডের মেয়র রাহি আলী, চ্যানেল এস’র প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস জলিলসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে জালাল রাজন উদ্দিনের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড’র ডিরেক্টর নিকিতা মুলচান্দানি, ইমাম উদ্দিন আহমেদ ও হুজহু’র প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল করিম গণি, আব্দুল হকের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন ব্র্যাকনেল কনজার্ভেটিভ পার্টির সাবেক এমপি কর্ণেল জেমস সান্ডার্লেন্ড, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউড’র প্রধান ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান ও এপেক্স একাউন্টেসীর ডাইরেক্টর তারেক মাহমুদ, সাব্বির জামির হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন হ্যারো কাউন্সিলের মেয়র সেলিম চৌধুরী, রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানির ডাইরেক্টর প্রভু সারমেন্ডার ও আল মোস্তফা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ম্যানের্জি ডাইরেক্টর এম এস সাদাফ জাবিদ, ইয়াসমিন হারুন বিইএম-এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন চ্যানেল এস’র প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস জলিল, টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পীকার সাইফ উদ্দিন খালেদ, নিউহ্যামের মেয়র রহিমা রহমান ও ইউরো ফুডস গ্রুপের সাইমা হোসেন, আলাউর রহমানের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন ক্যামডেনের মেয়র সমতা খাতুন, স্কয়ার মাইল ইন্স্যুরেন্সের জান নাইট ও এসিসি ট্যাক্সের ডাইরেক্টর তপন সাহা, আশিকুর রহমানের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন লয়েস্টটফ্ট টাউন কাউন্সিলের মেয়র নাসিমা বেগম, ইমপ্রেস মিডিয়ার ডাইরেক্টর কয়েস উদ্দিন ও জি-টেন প্রিন্টার্সের ডাইরেক্টর জরিদ মিয়া, করিম মিয়া শামীমের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন বারকিং এন্ড ডেগেনহ্যামের মেয়র মইন কাদেরী, ড্রিম স্পা’র ডাইরেক্টর মোহাম্মদ কুদ্দুছ ও এমকিউ হাসান সলিসিটরসের ফাউন্ডার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান এবং শামস উদ্দিন খানের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন বার্ণলীর মেয়র শাহ হোসেন, স্টেপলফোর্ডের মেয়র রাহি আলী, জেএমজি এয়ার কার্গোর ডাইরেক্টর মনির আহমদ ও সাঈদ আলতাফ।
এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে স্মৃতিকথা ও গল্পে অতিথি-দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন নান্দনিক উপস্থাপনায়। দর্শকদের গানে গানে মাতিয়ে রাখেন- বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী তানজিনা রুপা এবং বিলেতের শিল্পী শিবলু রহমান, জয়িতা চৌধুরী।
হুজহু’র প্রকাশনা ও এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের ১৫তম আসরের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে চ্যানেল এস, জি টেন ডিজাইন এন্ড প্রিন্টার্স, ইমপ্রেস মিডিয়া। পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় মেরিডিয়ান গ্রান্ড, ইভেন্ট পরিচালনায় পার্ল এডভারটাইজিং এবং একমাত্র চ্যারিটি পার্টনার হিসেবে রয়েছে- আল মোস্তফা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। সহযোগি পার্টনার হিসেবে রয়েছে ওয়ার্কপারমিট ক্লাউড (ডব্লিউপিসি)।
স্পন্সরে রয়েছে, রেক ইউ.কে এনার্জি, ইউরো ফুড গ্রুপ, স্কয়ার মাইল ইনস্যুরেন্স, এমকিউ হাসান সলিসিটার, এসিসি ট্যাক্স কনসালটেনসি, ড্রিম স্পা, জেএমজি এয়ারকার্গো, এপেক্স একাউন্টেন্সী, ইউরোশিয়া ফুড সার্ভিস। এছাড়াও বিজ্ঞাপন সহযোগিরা হচ্ছে- ভ্যানটেজ এক্সিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রিন্ট আর্ট ফর ইউ, কুশিয়ারা ট্রেভেলস, ডিজিকম, কারপ্ল্যানেট, জেড কোচেজ লন্ডন, মিডনাইট গার্ডেন, বাংলা টাউন ক্যাশ অ্যান্ড কারি, এক্সপ্লোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড, ওল্ডহ্যাম জিটিএ লিমিটেড।