বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে
নাজমিন রিয়া,ঢাকাঃ
বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিুসল হক বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১০টায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় সন্ধ্যা থেকেই র্যাব ও পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।
সন্ধ্যায় কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমদ কারাগারে ঢোকার পরপরই নাজিমুদ্দিন রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিঃ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড আজই কার্যকর হওয়ার খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বলে আজ দিনের আগেই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। জামায়াত নেতার পরিবারের সদস্যরা বিকালে তার সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন। মি. কামারুজ্জামানারের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সাথে দেখা করার পর বলেন, মিঃ কামারুজ্জামান বিচলিত নন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়েছেন। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা, তার সেই সিদ্ধান্ত জানতে শুক্রবার সকালে দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে গিয়েছিলেন। মি. কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে ‘প্রাণভিক্ষা চাননি’ বলে বিবিসি বাংলাকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শেরপুর জেলার সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যার দায়ে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায় আপিল বিভাগ বহাল রেখেছিল। এর বিরুদ্ধে তার পুনর্বিবেচনার আবেদনও আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয় গত সোমবার। আপিল বিভাগের ওই রায়ের কপি বুধবার কারাগারে পৌঁছনোর পর তাকে সেদিনই তা পড়ে শোনানো হয়। সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে প্রাণভিক্ষা চাওয়া না চাওয়ার প্রশ্নে তিনি তার আইনজীবীদের সাথে পরামর্শও করেন।