বাকিংহাম প্যালেস পুন:সংস্কারকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে রাজতন্ত্র বিলোপের দাবি
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃসরকারি খরচে ৩০০ বছরের পুরোনো বাকিংহাম প্যালেস পুন:সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। এরপরপরই রাজপরিবারের আর্থিক অপব্যয় এবং করদাতাদের টাকায় রাজপ্রাসাদ পুন:সংস্কারের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে ক্ষোভ বাড়ছে, এমনকি রাজতন্ত্র বিলোপেরও দাবি ওঠেছে।
রাজতন্ত্র-বিরোধী গ্রুপের নির্বাহি সভাপতি গ্রাহাম স্মিথ জানান, করদাতাদের টাকায় প্যালেস পুন:সংস্কার চরম মর্যাদাহানিকর। গত ছয় দশক ধরে রাজকীয় আর্থিক অব্যবস্থাপনার জন্য রাণীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা উচিত। প্রতি বছর রাজকীয় খরচ বহনের জন্য করদাতাদের ৩৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে হয়। রাজকীয় অর্থ ব্যয়ের হিসাব স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা উচিত এবং পার্লামেন্টের নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করা উচিত।
বর্তমানে ব্রিটেনের রাণীর ব্যক্তিগত সম্পদ আছে ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড, আর রাজকীয় ভূমির মূল্যমান ৭ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি। রাজপরিবার প্রতিবছর শতশত মিলিয়ন পাউন্ড করদাতাদের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন।
শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ভেঙ্গে পড়া এবং আগুন লাগাসহ ভবনটি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। ব্রিটেনের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সাথে ওপ্রোতভাবে জড়িত এই ভবনটি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে আমাদের এর আর্কিটেকচার এবং ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। আর প্যালেসটি দেখতে প্রতি গ্রীষ্মকালে অর্ধ-মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আসে বলে সরকার এটি সংস্কারে অর্থ ব্যয় করবে। এপ্রিলে এর সংস্কার কার্য শুরু হবে যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৬৯ মিলিয়ন পাউন্ড।
বাকিংহাম প্রাসাদ লন্ডনের সেন্ট জেমস পার্ক, গ্রীন পার্ক এবং হাইড পার্কের মধ্যে অবস্থিত। ১৭৬১ সাল থেকে রাজা তৃতীয় জর্জের আমল থেকে এটি হয়ে ওঠে রাজকীয় আবাস। বর্তমানে, বাকিংহাম প্রাসাদ এডিনবার্গের রানী এবং ডিউকের বাসভবন ও ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রশাসনিক সদর দপ্তর।
রাণী এই প্যালেসে তার আনুষ্ঠানিক এবং কূটনৈতিক কার্য সম্পাদন করেন। প্রাসাদে ৭৭৫টি রুম, ১৯টি স্টেট রুম, ৫২ টি রাজকীয় এবং অতিথি রুম, ১৮৮টি স্টাফ বেডরুম, ৯২টি অফিসরুম এবং ৭৮টি বাথরুম আছে। শুরু থেকেই এই প্রাসাদ বহুবার সংস্কার করা হয়েছে।