বাজেট ২০২০: করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ ব্রিটেনের জন্য প্রথম বাজেট ঘোষণা করেছেন চ্যান্সেলর রিশি সুনাক। এতে ব্রিটেনের অর্থনীতির এবং করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজ উন্মোচন করেছেন চ্যান্সেলর রিশি সুনাক। এবারের বাজেটে তিনি ইংল্যান্ডের অনেক সংস্থার বিজনেস রেট স্থগিত করছেন এবং অসুস্থদের বেতন ভাতা বাড়িয়েছেন এবং এনএইচএসের তহবিল বৃদ্ধি করেছেন।
চ্যান্সেলর হিসেবে প্রথম বাজেটের ভাষণে, তিনি ব্রিটেনের অর্থনীতিতে “উল্লেখযোগ্য” তবে সাময়িক ব্যাঘাতের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, “আমরা একসাথে এটি অর্জন করবো।”
এদিকে মাত্র চার সপ্তাহ আগে সরকার থেকে সাজিদ জাভিদ পদত্যাগের পর চ্যান্সেলর পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন মিঃ সুনাক। এরপর পরই সুনাককে করণাভাইরাস মোকাবেলায় তড়িঘড়ি করে সরকারের আর্থিক পরিকল্পনা পুনরায় লিখতে হয়েছিল। তিনি সংসদ সদস্যদের বলেন, “আমরা দেশ এবং দেশের জনগণকে সুস্থ ও আর্থিক সুরক্ষিত রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।”
অতিরিক্ত ব্যয়ের ৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে, ১২ বিলিয়ন পাউন্ড বিশেষভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যয় করা হবে, যার মধ্যে ইংল্যান্ডের এনএইচএসের জন্য কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড এবং যুক্তরাজ্য জুড়ে ব্যবসা এবং কর্মীদের জন্য ৭ বিলিয়ন পাউন্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি অন্যান্য ব্যয়ের প্রতিশ্রুতিগুলোর চেয়ে শীর্ষে যা পরের বছর ১৮ বিলিয়ন পাউন্ড এবং পরবর্তী বছরে আরও বেশি হবে।
দি অফিস ফর বাজেট (ওবিআর) বলছে, সরকারী বিভাগ এবং বিনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়টি ১৯৯২ সালের পর সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রতিনিধিত্ব করে। এদিকে বাজেট ঘোষনার পর যুক্তরাজ্যের বিরুধী দলীয় নেতা জেরিমি করবিন, এনএইচএসের জন্য অতিরিক্ত অর্থ “খুব অল্প, খুব দেরী” ছিল বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন,বছরের পর বছর কনজারভেটিভ কর্তনের যুক্তরাজ্যর জনসাধারণের পরিষেবাগুলো গুলো সংকটে পড়ছে।