বিপ্লব রায় বিকল হত্যার আসামীরা আওয়ামীলীগ প্রার্থীর প্রচারণায়!
ইন্দ্রজিৎ ঘোষ
গুরুত্বপূর্ণ সিলেট ১ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেনের প্রচারণায় আঁটঘাট বেধে নেমেছেন অর্থমন্ত্রীর পিএস জাভেদ সিরাজ ও তার ভাই জমশেদ সিরাজ। আর এ বিষয়টিই সিলেটের সংখ্যালঘুরা মেনে নিতে পারছেন না।তারা বিপ্লব রায় বিকল হত্যার ক্ষত কি সহজে ভুলতে পারবেন?
ভাতিজিকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পিএস জাবেদ সিরাজের ভাই যুবলীগ নেতা জমশেদ সিরাজের হাতে খুন হতে হয়েছিল তাকে। আসামীরা প্রভাবাশালী এবং সরকারি দলের নেতার আত্মীয় হওয়ায় গ্রেফতার হয়নি। উল্টো এই পরিবারটির আর সিলেট থাকা হয়নি। চলে যেতে হয়েছে গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলায়।
নির্বাচন সামনে বিষয়টি সিলেটের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পীড়া দিচ্ছে না? তারা এ বিষয়টি কি সহজে ভুলে যেতে পারছে। এর প্রভাব কি ভোটের মাঠে পড়বে না? ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বিপ্লব রায় বিকলকে নগরীর মিরাবাজারে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিল জমশেদ সিরাজ, সুমনসহ আরও ৫/৬ জন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে এবার প্রার্থী হননি অর্থমন্ত্রী আবুল মুহিত। তবে প্রার্থী হয়েছেন তারই সহোদর ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি। অত্যন্ত গুণীজন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় আটঘাট বেধে নেমেছেন অর্থমন্ত্রীর পিএস জাভেদ সিরাজ। ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাও তিনি। যার প্রভাবেই কিনা পুলিশ বিকল হত্যার আসামীদের ধরেনি। সিলেটের মিডিয়ায়ও আর আসেনি ইভটিজিং এর শিকার হয়ে পড়াশুনা বন্ধ করে ফেলা সেই মেয়েরটির কোন আপডেট। মোমেন সাহেবের প্রচারণায় এবার জাভেদ সিরাজ কিংবা জমশেদ সিরাজকে দেখে সিলেটের সংখ্যালঘুরা বেজায় ক্ষেপেছেন। এর প্রভাব পড়বে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে। তাই সিলেটের সংখ্যালঘু ভোটররা চায় জাভেদ সিরাজ ও তার ভাইকে এখনই দল থেকে বহিস্কার করা হউক। ( ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, প্রবাসী লেখক)