বিবিসি ট্রাষ্টের বিলুপ্তি ঘোষণা

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম বিবিসিতে আসছে বড় ধরনের সংস্কার। এ রদবদলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিবিসি ট্রাষ্টের বিলুপ্তুি। এছাড়া আরও কিছু পদক্ষেপ সম্বলিত একটি সুপারিশমালা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

বিবিসি’র তহবিল ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের শ্বেতপত্রে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। পার্লামেন্টে শ্বেতপত্রটি উপস্থাপন করছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী জন উইটিংডেল। সংস্কার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিবিসি ট্রাস্ট বিলুপ্ত করা হবে এবং একটি একক বোর্ড গঠন করে তার কাছে প্রতিষ্ঠানটির দৈনন্দিন পরিচালনার ভার দেওয়া হবে। আর টিভি ও রেডিও সেক্টর পরিচালনাকারী অফকম বিবিসি’র বাহ্যিক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে। করপোরেশনটির সব সার্ভিস পরিচালনার ভার থাকবে অফকমের ওপর।

এক বছর আলাপ আলোচনার পর সরকারের শ্বেতপত্র উপস্থাপনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিবিসি’র মহাপরিচালক টনি হল। আগামী ১১ বছরের জন্য বিবিসি’র নতুন খসড়া সনদ তৈরি এবং সই হওয়ার আগে এ নিয়ে এমপি’রা বিতর্ক করবেন। ট্রাস্ট বাতিলের ঘোষণা ছাড়াও লাইসেন্স ফি বহাল করার সুপারিশ রয়েছে শ্বেতপত্রে। লাইসেন্স ফি বহাল থাকবে অন্তত ১১ বছর। বিবিসি আইপ্লেয়ার ব্যবহারের জন্য দর্শকশ্রোতাদেরকে এ ফি দিতে হবে।

বিবিসি’র মহাপরিচালক টনি হল বলেন, এতে করে বিবিসি আরও শক্তিশালী এবং সৃজনশীল হয়ে ওঠার সবুজ সঙ্কেত পেল। এটি বিবিসি’র জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। তাছাড়া, সবশেষে আমরা ১১ বছরের একটি চুক্তি সনদ পাব। ১১ বছরের জন্য লাইসেন্স ফি’র নিশ্চয়তা পাব। বিবিসি’র কাজের পরিধি ও ব্যাপকতা অনুমোদন পাবে।

নানা অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে ইতোপূর্বে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্ট বিলুপ্তির সুপারিশ করেছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যরা। অনেক এমপি’র মতে, ট্রাস্ট প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এটি বিলুপ্ত করা প্রয়োজন।


Spread the love

Leave a Reply