বিশ্বব্যাপী বর্ষবরণ …
বাংলা সংলাপ ডেস্ক
নানা ঘটন-অঘনের মধ্য দিয়ে বিদায় নিল আরও একটি ইংরেজি বর্ষ-২০১৫। নতুন প্রত্যাশার ডালা নিয়ে এসেছে নতুন সাল ২০১৬। আতশবাজির গগণবিদারী আওয়াজ আর আলোর ঝলকানির মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী স্বাগত জানিয়েছে ইংরেজি নতুন এই বছরকে।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রথমে বর্ষবরণ শুরু হয় নিউজিল্যাণ্ডে। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা ১ মিনিটে বর্ষবরণ দেশটির অকল্যান্ড শহরের স্কাই টাওয়ারের পাশে জনগণ কাউন্টডাউনের মাধ্যমে বিদায় জানায় ২০১৫ সালকে। স্বাগত জানায় ২০১৬ সালকে। এখানে আয়োজন করা হয় লেজার শো এবং দৃষ্টিনন্দন আতশবাজির।এতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সমবেত হয়।
নিউজিল্যাণ্ডের পর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় নববর্ষ উদ্যাপন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবারে শুরু হয় দৃষ্টিনন্দন আতশবাজি। দেশটির মূল অনুষ্ঠানে ১০ লাখের মতো মানুষ সমবেত হয় বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় এশিয়ার হংকং, সিঙ্গাপুর, বেইজিংসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ করা হয়। মিশরে পিরামিডের কাছে উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর লক্ষ্য হল বিধ্বস্ত পর্যটন শিল্পকে পুনরুদ্ধার করা।
জার্মানির বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেটে ১০ লাখ মানুষ সমবেত হয়ে কাউন্ট ডাউনে অংশ নেয়। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বর্ষবরণে নানা আয়োজন করে।
নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সমবেত হন ১০ লক্ষাধিক মানুষ। পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মিশরের কায়রো শহরের পিরামিডের সামনে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
তবে নাশকতার আশঙ্কায় ফ্রান্স ও লন্ডনে সীমিত করা হয়েছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর রেড স্কয়ারে আয়োজন করা হয়েছে নববর্ষ উদযাপন। হাজারো মানুষের সমাগম আর উৎসব মুখর পরিবেশে পুরাতন বছরকে বিদায় জানায় মস্কোবাসী। সেই সঙ্গে আকাশ আলোকিত করে বরণ করে নেয় ২০১৬ সালকে। যদিও নিরাপত্তার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাতিল করা হয়েছে আতশবাজি উৎসব।