ব্যতিক্রমী নৌবিহারের মাধ্যমে আগামী ২ অক্টোবর আরতা এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ঘোষণা
সাজু আহমেদঃ প্রায় তিন শতাধিক কারিশিল্পের বিশিষ্টজন, মিডিয়া কর্মী ও কমিউনিটির স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নিয়ে টেমস নদীতে এক ব্যতিক্রমী আয়োজনে আগামী ২ অক্টোবর আরতা (এশিয়ান রেস্টুরেন্ট এন্ড টেকওয়ে অ্যাওয়ার্ডস) অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন এওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মুনিম সালিক।
গত ২৮ মার্চ, সোমবার ৬টায় টাওয়ার হীলের মিলেনিয়াম পিয়ার থেকে যাত্রা শুরু করে বিশাল পরিসরের রিভার ক্রুজ ডিক্সি কুইন।যাত্রার প্রারম্ভেই টাওয়ার ব্রিজ খুলে যাওয়ার দৃশ্য অতিথি অভিযাত্রী দারুণভাবে উদ্বেলিত করে, হর্ষধ্বনির মাধ্যমে সবাই তাদের আনন্দের প্রকাশ ঘটান।
অতঃপর থেমস’র দু’কূলের মনোরম দৃশ্য দেখিয়ে দেখিয়ে তরী ছুটে চলে গ্রিনিচ অভিমুখে।টেমস নদীর অপরূপ দৃশ্য আর অনুষ্ঠানের মাধুর্যে কখন যে রাত ১০টা বেজে যায়, অভিযাত্রিরা তা টের ও পাননি! অতঃপর যাত্রাস্থল টাওয়ার হিলে এসে নোঙ্গর করে ডিক্সি কুইন।
৭টার কিছু পরে শুরু হয় মিডিয়া লঞ্চের আনুষ্ঠানিকতা। মিডিয়া পার্সনালিটি রাজন সিং এর উপস্থাপনায় আরতা’র প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ মুনিম সালিক আগামী ২ অক্টোবর এবছরের এওয়ার্ড সিরিমনি অনুষ্ঠানের ঘোষণা প্রদান করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যানারি ওয়ার্ফের কমিউনিকেশন্স অফিসার ও আরতা’র অ্যাম্বেসেডর ড.জাকির খান,ঢাকাস্থ ফোডিল কলেজের ইউকে প্রতিনিধি আজিজুর রহমান ও আরতা’র জাজ
গ্রাহাম টেইলর।
দীর্ঘ ক্রুজ অভিযাত্রায় গানে গানে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন শিল্পী রাজা কাশিফ ও রুবাইয়াত। গান আর ঢেউয়ের তালে তালে থেমসের বুক চিরে ছুটে চলা জনমুখর ক্রুজে রোমান্টিক আবহের সঞ্চার হয়।মঞ্চে বক্তব্য দিয়ে সবাইকে উজ্জীবিত করেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী বক্সার খালিদ আলী। এসময় সাথে তার বাবা বক্সার ওয়ালিদও সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। মঞ্চে ডাকা হয় কারি ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে.বক্তৃতা, গ্রুপ আলোচনা এবং গান আর তালে তালে এক পর্যায়ে সামুদ্রিক সুস্বাদু মাছ দিয়ে চলে ভূরিভোজ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিখ্যাত ও-টু এলাকার ইন্টারকন্টিন্যান্টাল হোটেলে আরতা’র প্রথম এওয়ার্ড সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়।২০১৯ ওয়েস্টমিনিস্টারের পার্ক প্লাজার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো দ্বিতীয় এওয়ার্ডস অনুষ্ঠান।
কোভিডকালের দীর্ঘ বিরতির এবছরআবার শুরু হতে যাচ্ছে ইতোমধ্যে কারি ইন্ডাস্ট্রিতি আলাদা অবস্থান করে নেওয়া আরতা।
আরতা’র অনন্য ব্যতিক্রম হচ্ছে অন্যান্য এওয়ার্ডের পাশাপাশি পুরো রেস্টুরেন্ট সেক্টর থেকে বাছাই করে পঞ্চাশ হাজার পাউণ্ড মূল্যের “চ্যাম্পিয়ান অব চ্যাম্পিয়ন”।