ব্রিটেনে আরও ভারী তুষারপাতের আশংকা , রেড সতর্কতা জারি
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ ব্রিটেনে আরো বেশি ভারী তুষারপাত হওয়ায় আশংকায় রেড এলার্ট জারি করেছে মেট অফিস। এডিনবার্গ থেকে গ্লাসগো পর্যন্ত এই সতর্কতা দেওয়া হয়।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে স্কটল্যান্ড , নর্দান,ইস্টার্ন ইংল্যান্ড এবং ইস্ট মিডল্যান্ড রোডে ট্রাভেল করা ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে । স্কটল্যান্ডে আজ ৪০০ স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । এছাড়াও এসেক্স,কেন্ট,সারে,ইয়ক শায়ারে শতশত স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । লন্ডন সিটি , নিউক্যাসল,গ্লাসগো ইয়ারপোর্টে সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। হিথ্রো বিমান বন্দরে অন্তত ১০০ টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে । ন্যাশনাল রেইল মেজরিটি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরী সহযোগিতার জন্য কিছু কিছু এলাকায় সেনাবাহিনী কাজ করছে । গত ২৭ বছরের মধ্যে এ মৌসুমে আবহাওয়ার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেট অফিস সকল রাস্তায় ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। যাত্রিদের ৬টার মধ্যে বাসায় ফিরতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে । ট্রেন ও বাস সার্ভিস সীমিত করা হয়েছে ।আবহাওয়া অফিস সর্ব নিম্ন ১৫ ডিগ্রি মাইনাস তাপমাত্রা ড়েকর্ড করেছে। ’
এ পরিস্থিতিতে লন্ডন ওভারগ্রাউন্ড সার্ভিসও সোমবার রাত সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয় এবং সাউদার্ন রেল তাদের সার্ভিস সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। লন্ডন সময় সোমবার সকাল থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত ব্রিটেনের বিভিন্ন রেলরুটে একশর বেশি ট্রেন দেরিতে ছেড়ে যায়। অনেক ট্রেনের যাত্রাও বাতিল করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এবং বুধবারও ইউরোপে তুষারপাত ও তীব্র শীত পড়তে পারে। এ ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ব্রিটেনের আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ১৯৯১ সালের পর গত ২৭ বছরের মধ্যে এ মৌসুমে আবহাওয়ার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মূলত সাইবেরিয়ান বা আর্টিক বায়ুর প্রভাবে ইউরোপে তীব্র শীত পড়ছে। এদিকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সোমবার জার্মানির দুটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় এবং ইউরোপজুড়ে অনেক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হয়।
ইউরোপে এরই মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের বেশির ভাগই গৃহহীন।
গত সোমবার থেকে আজ বুধবার পরপর তৃতীয় দিনের মতো মধ্য ও উত্তর ইউরোপের নানা দেশে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২৫ ডিগ্রি নিচে এবং দিনের তাপমাত্রাও হিমাঙ্কের ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। আলপাইন পর্বতমালার সমতলের দেশগুলোতে রাতে তাপমাত্রা কমে হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে পৌঁছেছে।
উত্তর ও মধ্য ইউরোপের মতো দক্ষিণ ইউরোপের দেশ ইতালি এবং গ্রিসেও তুষারপাত হয়েছে। প্রচণ্ড তুষারপাতে ইউরোপের নানা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, কোনো কোনো মহাসড়কে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার পুরু তুষার পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ইউরোপের অনেক বিমানবন্দর সময়ভেদে বন্ধ রাখা হচ্ছে। অনেক জায়গায় নৌচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদী ও লেকের উপরিভাগ পানি জমে বরফ হয়ে গেছে।বিভিন্ন শহরের পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা গৃহহীনদের বিশেষ আশ্রয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন।