ব্রিটেনে নতুন কোন ওয়ার্ক পারমিট চালু হয়নি
বাংলা সংলাপ ডেস্ক: ব্রিটেনে নতুন করে রেস্টুরেন্ট ভিসা কিংবা কোন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট চালু হয়নি। ব্রেক্সিট হলেও আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত এধরনের কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সম্প্রতি সিলেটে কিছু সংখ্যক পত্রিকায় ব্রেক্সিটের পর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে বিভ্রান্তি চড়ানো হচ্ছে। এতে করে এক শ্রেণীর দালাল চক্র উঠেপরে লেগেছে।
তবে রেস্টুরেন্ট সেক্টরে স্টাফ সংকটনের সমাধানে মাইগ্রেশন এডভাইজরি কমিটি (ম্যাক) একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। তাদের এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আবারো রেস্টুরেন্ট ভিসায় দক্ষ – অদক্ষ শ্রমিক আসার সুযোগ সৃস্টি হতে পারে। একই সাথে কৃষি ও নার্সিং ভিসারও সুযোগ সৃস্টি হতে পারে । এই সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে ২০২০ সাল পর্যন্ত। তবে এটা সত্য যে মাইগ্রেশন এডভাইজরি কমিটির প্রস্তাব কার্যকর হলেও ঢালাও ভাবে বাংলাদেশ থেকে লোক চলে আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন ।মাইগ্রেশন এডভাইজরি কমিটি (ম্যাক) রেস্টুরেন্ট ভিসায় বার্ষিক বেতন ২৯ ৫৭০ পাউন্ড প্রদানের প্রস্তাব করেছে , যার শর্ত পুরন করা বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট মালিকদের পক্ষে খুবই কঠিন। ইতিমধ্যে রেস্টুরেন্ট ভিসা সক্রান্ত বিভ্রান্তকর সংবাদের কারনে বাংলাদেশে বিশেষ করে সিলেটে দালাল চক্রের সৃস্টি হয়েছে। এই সকল দাদালদের খপ্পরে না পড়তে সবাইকে শর্তক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিসিএর নেতৃবৃন্দ ।
স্টাফ সংকটের কারনে ব্রিটেনে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট ও টেইকওয়ে প্রতি সাপ্তাহেই বন্ধ হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে দীর্ঘদিন যাবত লবিং আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনসহ একাদিক সংগঠন।
এছাড়া যারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রিটেনে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করছেন এমন দক্ষ শ্রমিকদের কাজের বৈধতা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিটিনের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতায় আসলে ব্রিটেনে বসবাসরত অবৈধদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করা হতে পারে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। কারন বরিস জনসন লন্ডন মেয়র থাকাকালিন সময় ও তারও পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালিন সময়ে এমন প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। অবৈধদের বৈধতা দিলে কিছুটা হলেও শ্রমিক সংকট দূর হবে। এক্ষত্রে ইইউ বাইরের দেশ থেকে শ্রমিক আনার প্রয়োজনীতা আর থাকবে না।