ব্রিটেনে বিনিয়োগ বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

Spread the love

২০১২ সালে নিজের গলফ কোর্স উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প -নিউইয়র্ক টাইমস
২০১২ সালে নিজের গলফ কোর্স উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প -নিউইয়র্ক টাইমস

বাংলা সংলাপ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে ব্রিটেনে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা থেকে সরে আসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে বিতর্কিত হওয়া রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের এই কঠোর মনোভাবের কথা জানান তার মুখপাত্র জর্জ সরিয়াল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন-প্রত্যাশী ট্রাম্পের মায়ের জন্ম স্কটল্যান্ডে। ট্রাম্পের মালিকানায় সেখানে দুটি গলফ কোর্স রয়েছে, যেখানে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তার।

যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের ভ্রমণের ওপর যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে বিনিয়োগের ওই পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য করবে বলে বুধবার জানান ট্রাম্পের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিজনেস এম্পায়ারের ওই মুখপাত্র।

জর্জ সরিয়াল ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্ক হলে সেটি ‘বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত’ হবে বলে সতর্ক করেন। তিনি দাবি করেন, এর মাধ্যমে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে নিজেদের ভয়ংকর অবস্থান বিশ্বের কাছে জানান দেবে। একই সাথে তার মতে, ব্রিটিশদের এমন পদক্ষেপ প্রমান করবে যে তার বিনিয়োগে আগ্রহীদের বিষয়ে উদাসীন।

সম্প্রতি মুসলমানদের নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের পর ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ৫ লাখ ৭০ হাজার লোকের স্বাক্ষর-সংবলিত একটি আবেদন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জমা দেওয়া হয়। এরপর আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্কের পরিকল্পনা করেন।

আসছে ১৮ জানুয়ারির সম্ভাব্য ওই বিতর্ক অনলাইনে দেখা যাবে। সাধারণত এক লাখের বেশি লোকের স্বাক্ষর-সংবলিত যেকোনো আবেদনের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্ক করতে বাধ্য থাকেন আইনপ্রণেতারা। তবে এ ধরনের বিতর্কের পর কোনো সিদ্ধান্ত হয় না।
ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ওই আবেদন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জমা হওয়ার পর এই দাবির বিরোধিতা করে আরেকটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ৪০ হাজার লোক।

এর আগে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টরজেওন একাধিকবার ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী বক্তব্যগুলোর নিন্দা জানান। ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ডের ‘গ্লোবালস্কট বিজনেস’ নেটওয়ার্কের সদস্য এবং স্কটল্যান্ডের ব্যবসায়িক দূত। বিতর্কিত এসব বক্তব্যের কারণে ট্রাম্প আর এসব পদে থাকার যোগ্য নন বলেও মন্তব্য করেছেন স্কটিশ ফ্রার্স্ট মিনিস্টার।


Spread the love

Leave a Reply